ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরিসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইএনএন শুক্রবার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরির নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে। এর আগে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল হোসেইন সালামির নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। সালামি তেহরানে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সদরদপ্তরে হামলায় নিহত হন। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক কর্মসূচিতে জড়িত থাকায় ২০০০ সাল থেকে তার ওপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে।
১৯৮০ সালে ইরান–ইরাক যুদ্ধের সময় প্রথম বিপ্লবী গার্ড বাহিনীতে যোগ দেন সালামি। বাহিনীতে তার নেতৃত্বের সময়কালেই গত বছর ইরান ইসরায়েলের ওপর প্রথমবারের মতো সরাসরি সামরিক হামলা চালায়। তিনশর বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল ওই হামলায়। ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে একদিন আগেই সালামি বলেছিলেন, ‘যে কোনো পরিস্থিতির জন্য’ তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোররাত ৪টার পর ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা এবং সামরিক কমান্ডারদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলা শুরু হয়। তেল আবিব বলছে, তেহরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে একটি দীর্ঘমেয়াদি অভিযানের শুরু হিসেবে এই হামলা চালাল তাদের সামরিক বাহিনী। এ অভিযানের নাম তারা দিয়েছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ ।