ইরানের বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি বাইডেনের

| বুধবার , ৫ অক্টোবর, ২০২২ at ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ইরানে কঠোর পোশাক বিধি অমান্য করায় প্রথমে গ্রেফতার ও পরে পুলিশ হেফাজতে কুর্দি নারী মাহশা আমিনি নিহতের ঘটনায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলছে। দিন দিন পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে চলেছে। এ অবস্থায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত সোমবার ইরানের বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাইডেন। এক বিবৃতিতে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন বাইডেন। বিবৃতিতে বাইডেনের বরাত দিয়ে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বলেছেন তিনি ইরানে ছাত্র ও নারীসহ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর তীব্র সহিংস দমন-পীড়নের প্রতিবেদন নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন। তারা তাদের মৌলিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদার দাবি করছে। খবর বিডিনিউজের। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চলতি সপ্তাহে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকারী অপরাধীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। এবং এটি হবে অত্যন্ত কঠোর। প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানিদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করবে। একই সঙ্গে বৃহৎ সুবিধা সম্বলিত বিভিন্ন পরিষেবাও দেওয়া হবে। ইরানি নারীসহ সব নাগরিকের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
তারা (নারীরা) সাহসিকতা দেখিয়ে বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করছে বলেও মন্তব্য করেন বাইডেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইরানি কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে জবাবদিহি করা হবে, এবং এটি অব্যাহত থাকবে। ইরানীদের স্বাধীনভাবে প্রতিবাদ করার অধিকারকে সমর্থনও করে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয় কুর্দি নারী মাহশা আমিনির। এরপর ইরানে বিক্ষোভ শুরু হয়। সপ্তাহব্যাপী এ বিক্ষোভে নিহত হন ৯২ জন। গত রোববার মৃত্যুর নতুন সংখ্যা প্রকাশ করে নরওয়েভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংস্থা।
ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভে নিষিদ্ধ বিরোধী গোষ্ঠীর ২৫৬ সদস্যকে দাঙ্গা ঘটানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন বিদেশি নাগরিক। এদিকে, ইরানে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান বিক্ষোভের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তার অভিযোগ, দেশ দুটি ইরানের উন্নয়ন প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, আমার স্পষ্ট কথা-গত দুই সপ্তাহ ধরে যা চলছে তার নেপথ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দখলদার ইহুদিবাদীরা। যারা তাদের কাছ থেকে অর্থ পেয়েছে, তারাও এর নেতৃত্বে রয়েছে। বিদেশে থাকা কয়েকজন বিশ্বাসঘাতক ইরানিও তাদের সহযোগিতা করছে। সবাই মিলে দেশে দাঙ্গা ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ১৯.৭৭ কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধমস্কোর দখলে থাকা একের পর এক এলাকা পুনরুদ্ধার