সোনালী ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ১৮৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের মামলায় নগরীর আন্দরকিল্লার মেসার্স ইমাম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ও ইমাম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান সোনালী ব্যাংকের এমডিকে এ নির্দেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত বছরের ২২ মে ঋণ খেলাপি মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ৫ মাসের দেওয়ানী আটকাদেশ দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পাশাপাশি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় তাকে দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সোনালী ব্যাংক পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়। উক্ত নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আজকে (গতকাল) আদালত ঐ বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে আদেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংকের ৮০ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ে ২০১২ সালে অর্থঋণ মামলা দায়ের হয়। ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল মামলায় রায় হয়। রায়ে ষাট দিনের মধ্যে ঋণ পরিশোধের কথা বলা হয়। কিন্তু ঋণ অনাদায়ী থেকে যায়। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর জারি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো টাকাই পরিশোধ করেননি মোহাম্মদ আলী। সুধসহ বর্তমান ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮৫ কোটি টাকার উপরে। মোহাম্মদ আলী দুবাইয়ে অবস্থান করছেন জানিয়ে বেঞ্চ সহকারী বলেন, সেখানে তিনি দেশ থেকে পাচার করে নিয়ে যাওয়া টাকা নানা ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নানা সময়ে দায়ের করা অন্তত ১৫টি মামলা অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। যেখানে ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দেড় হাজার কোটি টাকা। দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে আইনগত লড়াই চালিয়েও এসব টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে ব্যাংক ও বিনিয়োগ খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলেও জানান তিনি।