পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির ইদ্দত মামলায় ৭ বছরের সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ করেছে রাজধানী ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত। গত বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আফজাল মাজোকা এ রায় ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডন’।
সাধারণ নির্বাচনের কয়েক দিন আগে ৩ ফেব্রুয়ারিতে বুশরা বিবির সাবেক স্বামী ফারিদ মানেকার অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বুশরা বিবি ইদ্দতকালীন ইমরান খানের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। সিনিয়র সিভিল জজ কুদরাতুল্লাহ এ মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ রুপি করে জরিমানার রায় দিয়েছিলেন। ওই একই সপ্তাহে তোষাখানা মামলায় ১৪ বছরের সাজা এবং রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের মামলায় ইমরান খান ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের সাজা হয়। এপ্রিল মাসে তোষাখানা মামলার সাজার স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। আর চলতি মাসের শুরুতে ইমরান ও কুরেশি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের মামলায় খালাস পেয়েছেন। ফলে এখন কেবল ইদ্দত মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবি আদিয়ালা কারাগারে আছেন। খবর বিডিনিউজের।
সাজার বিরুদ্ধে এই দম্পতি হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন। তাদের আবেদন এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার আদেশ দেয় আদালত। এরপরই শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার তাদের সেই আপিল খারিজ করে সাজা বহাল রাখল ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত।