ইমরান খানের দলকে নিষিদ্ধ করছে পাকিস্তান সরকার

| মঙ্গলবার , ১৬ জুলাই, ২০২৪ at ৭:৫৬ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকইনসাফকে (পিটিআই) নিষিদ্ধ করতে চলেছে সরকার। একইসঙ্গে ইমরান এবং প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির বিরুদ্ধে সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদের আওতায় দেশদ্রোহের মামলাও হবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। সোমবার মন্ত্রী বলেন, পিটিআই পাকিস্তানে অবৈধ উৎস থেকে বিদেশি তহবিল পাচ্ছেএমন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং গত বছর সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিশানা করে পিটিআই সমর্থকদের দাঙ্গাহাঙ্গামার ভিত্তিতে দলটিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে আতাউল্লাহ তারার বলেন, পিটিআই এবং পাকিস্তান সহাবস্থান করতে পারে না। ফেডারেল সরকার পাকিস্তান তেহরিকইনসাফ কে নিষিদ্ধ করতে মামলা করবে। প্রয়োজনে বিষয়টি মন্ত্রিসভা এবং সুপ্রিম কোর্টে যাবে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দল নির্বাচনে নিষিদ্ধ থাকায় স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন পাকিস্তান তেহরিকইনসাফ (পিটিআই) নেতারা।

তারা পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেলেও নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছিল যে, সংরক্ষিত ৭০টি আসনের ভাগ পাবে না স্বতন্ত্ররা। এইসব আসন কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নির্ধারিত। ফলে পার্লামেন্টের ওই আসনগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে বেশির ভাগ আসনই পেয়েছিল পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন জোট সরকারের দলগুলো। তবে শুক্রবার এক আদেশে পিটিআই পার্লামেন্টে ২৩ টি সংরক্ষিত আসন পাওয়ার যোগ্য বলে ঘোষণা দেয় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে পিটিআই জাতীয় পরিষদে একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পট প্রস্তুত হয় এবং সরকারের ওপর চাপ বাড়ে। এরপরই পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের ঘোষণা এল। এর মাধ্যমে জাতীয় পরিষদে একক বৃহত্তম দল হওয়া থেকে দলটিকে ঠেকানোর চেষ্টা চলছে বলে মনে করা হচ্ছে। পিটিআই নিষিদ্ধ হলে তাদের সংরক্ষিত আসন মঞ্জুরের আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর এর কী প্রভাব পড়বে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধট্রাম্পকে প্রায় মেরে ফেলেছিলেন ক্রুকস, কিন্তু কেন?
পরবর্তী নিবন্ধচুয়েটে স্টাফ এসোসিয়েশনের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি