চেক প্রতারণার তিন মামলায় ই–কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত এ আদেশ দেয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম আদালতপাড়ার সাংবাদিকদের জানান। এর আগে এসব মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। আসামিরা হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তিন মামলার বাদীরা হলেন, তানভীর আহমেদ, মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন ও তৌফিক মাহমুদ। খবর বিডিনিউজের। মামলাগুলোর অভিযোগে বলা হয়, বিজ্ঞাপন দেখে তারা মোটরসাইকেল কিনতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা পরিশোধ করেন। ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে ইভ্যালি তাদেরকে পণ্যের সমমূল্যের চেক দেয়। এরপর চেকগুলো নগদায়নের জন্য একাধিক ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। এ বিষয়ে তাদেরকে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়। নোটিসের জবাব না দেওয়ায় এবং কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শামীমা নাসরিন ও রাসেলের বিরুদ্ধে বাদীরা প্রতারণার মামলা করেন।
এক গ্রাহকের করা মামলায় ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। এরপর তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়; নেওয়া হয়েছিল রিমান্ডেও। ইভ্যালির পুনর্গঠন হিসাব–নিকাশের সুবিধার্থে তার স্ত্রী শামীমাকে এক বছরের মাথায় শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিয়েছিল আদালত। আর রাসেল মুক্তি পান গত ১৯ ডিসেম্বর। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ও পরেএই দম্পতির বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি ও অন্যান্য প্রতারণার দায়ে দেশে সাড়ে ৩০০ এর অধিক মামলা হয়েছিল। এসব মামলার মধ্যে বেশ কয়েকটিতে রাসেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।