গ্রাহকের করা এক মামলায় গ্রেপ্তার ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিন কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এই কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ জানান, মঙ্গলবার রাতে তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে আসে। তা যাচাই-বাছাই করে বুধবার সন্ধ্যায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তার নামে ৩৩টি বিভিন্ন মামলা রয়েছে; এবং সম্প্রতি তিনি সব মামলায় জামিন পেয়েছেন বলে জানান শাহ শরীফ।
তিনি বলেন, সর্বশেষ ধানমণ্ডি থানার একটি মামলায় তার জামিনে মুক্তির আদেশ মঙ্গলবার কারাগারে আসে। যাচাইপূর্বক বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ধানমন্ডি থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তারের পর ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর শামীমাকে ঢাকা থেকে এ কারাগারে স্থানান্তর করা হয় বলে জানান তিনি।
গাড়ি, মোটরসাইকেল, গৃহস্থালির আসবাবপত্র, স্মার্ট টিভি, ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন বিলাস পণ্য অর্ধেক দামে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের নজরে এসেছিল ইভ্যালি। তাদের চমকদার ‘অফারের’ প্রলোভনে অনেকেই বিপুল অংকের টাকা অগ্রিম দিয়ে পণ্যের অর্ডার করেছিলেন পরে বেশি দামে বিক্রি করে ভালো লাভ করার আশায়।
কিন্তু তাদের অনেকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পণ্য বুঝে পাননি, ইভ্যালি অগ্রিম হিসেবে নেওয়া তাদের টাকাও ফেরত দেয়নি। এভাবে প্রলোভনে পড়ে ব্যাংক ঋণ, ধার-দেনা করে, জমি বা গয়না বেচে সেই টাকা ইভ্যালিতে লগ্নি করে এখন মহাবিপদে আছেন বহু গ্রাহক।
ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন কোম্পানির চেয়ারম্যান। ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় এখনও কারাগারে আছেন।