ইভিএম সংরক্ষণে মীরসরাইয়ে হচ্ছে ওয়্যারহাউজ

এক দশমিক ৫৪ একর খাসজমি বরাদ্দ চেয়ে ডিসিকে চিঠি ইসির

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৫ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৮:১৩ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচন কমিশন চট্টগ্রাম অঞ্চলে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) সংরক্ষণের জন্য ওয়্যারহাউজ করতে যাচ্ছে মীরসরাই উপজেলায়। এই ব্যাপারে মীরসরাইয়ের পশ্চিম ইছাখালী এলাকায় স্থিত এক দশমিক ৫৪ একর খাস জমি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের অনুকূলে বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক বরাবর গত ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. ইউসুফ। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম শহরে কোনো ইভিএম নেই। উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচনে ব্যবহৃত ৭টি উপজেলায় ৫২০ সেট ইভিএম রয়েছে। এগুলো উপজেলার বিভিন্ন স্কুলকলেজ ও অফিসার্স ক্লাবসহ সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে রাখা হয়েছে। ইভিএমগুলো যথাযথ সংরক্ষণের জন্য ওয়্যারহাউস না থাকায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে রাখতে গিয়ে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। বিষয়টি বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় জেলা নির্বাচন অফিস থেকে। এভাবে সংরক্ষণের অভাবে ইভিএমগুলো পড়ে থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই অবস্থায় ইভিএম সংরক্ষণের জন্য ওয়্যারহাউজ তৈরির প্রতি জোর দেয় নির্বাচন কমিশন।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে গত ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওয়্যারহাউজ নির্মাণের জন্য খাস জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত বিষয়ে চিঠি দেয়া হয়। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (সাধারণ সেবা) রাশেদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরিত চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার পশ্চিম ইছাখালী মৌজার ১৩৯০৬ নম্বর দাগের ১ দশমিক ৫৪ একর খাস জমি রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে জানতে পেরেছি মর্মে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে জানিয়েছেন। উল্লেখিত জমি ওয়্যারহাউজ নির্মাণের জন্য আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস চট্টগ্রামের অনুকূলে বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হলো।

চট্টগ্রামে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনগুলো সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা গোলাম হোসেন আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম শহরে কোনো ইভিএম নেই। উপজেলা পর্যায়ে ৭টি উপজেলায় ৫২০ সেট ইভিএম রয়েছে। এর মধ্যে মীরসরাইয়ে রয়েছে ১৭০ সেট, রাঙ্গুনিয়ায় ১৩০ সেট, ফটিকছড়িতে ৩০ সেট, চন্দনাইশে ২০ সেট, পটিয়ায় ২০ সেট, আনোয়ারায় ১৪০ সেট এবং লোহাগাড়া উপজেলায় রয়েছে ১০ সেট ইভিএম। এগুলো আমরা যত্ন করে রেখেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতারেক রহমানের চার মামলা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলে রাষ্ট্রপক্ষ
পরবর্তী নিবন্ধআগামী নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে : ব্রিটিশ এমপিকে প্রধান উপদেষ্টা