চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে অর্ধেক ব্যয় হয়েছে নির্বাচন পরিচালনা খাতে। বাকি অর্ধেক ব্যয় হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায়।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের নির্বাচনে এ সিটিতে ব্যয় হয়েছিল ২০ কোটি টাকা। তার আগে ২০১০ সালের নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল ৭ কোটি টাকা। এবার ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করায় ব্যয় কম হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
ইসির বাজেট শাখার উপ-সচিব মো. এনামুল হক জানান, নির্বাচন পরিচালনা খাতে ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ১৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। এ খাতে কেন্দ্র ও ভোট ব্যবস্থাপনা, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভাতা ইত্যাদি বাবদ ব্যয় করতে হয়েছে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ নিয়োগে ১ কোটি ৪৯ লাখ ২০ হাজার টাকা, র্যাবের পেছনে ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬০ টাকা, আনসারের পেছনে ২ কোটি ৬১ লাখ ১৭ হাজার ৫২০ টাকা ব্যয় হয়েছে। সব মিলিয়ে ৯ কোটি ৬০ লাখ ৪১ হাজার ৩৮০ টাকা এরই মধ্যে পরিশোধ করেছে সংস্থাটি। অবশিষ্ট রয়েছে বিজিবি সদস্য নিয়োগের ব্যয়। এনামুল হক জানান, বিজিবি এখানো চাহিদাপত্র দেয়নি। তারা চাহিদাপত্র পাঠালে মোট ব্যয় দাঁড়াবে ১০ কোটি টাকার মতো।
গত ২৭ জানুয়ারি চসিকের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।