লম্বা সময় পর আবার টেস্ট ক্রিকেটে ফিরছেন বাংলাদেশ দলের পেসার এবাদত হোসেন চৌধুরী। নিজেদের মধ্যে প্রস্ততি ম্যাচে দারুন বল করেছেন এবাদত। ইনজুরির সাথে লড়াই করতে শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েই মাঠে ফিরছেন এই পেসার। শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের মধ্যকার দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ বোলিং করেন ইবাদত। আর দীর্ঘ দিন পর জাতীয় দলে ফিরে নিজেকে যেন পুরোপুরি প্রস্তুত ঘোষণা দেন তিনি। অভিজ্ঞ পেসার এই দলে ফেরায় দারুন খুশি টেস্ট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও । শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, তার দলের জন্য এটি বাড়তি শক্তি হিসেবে কাজ করবে। ২০২৩ সালের জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হাঁটুতে আঘাত পেয়েছিলেন এবাদত। শুরুতে ইনজুরির তীব্রতা বোঝা যায়নি। পরে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে অস্ত্রোপচার করাতে হয় তার। যে কারণে প্রায় দেড় বছর মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। গত বছরের শেষ দিকে ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে খেলায় ফেরেন এবাদত। তবে জাতীয় দলে ডাক পেতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হয় এই পেসারের। প্রায় দুই বছর বিরতি দিয়ে শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট সিরিজের দলে ফেরেন তিনি।
এর আগে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে একটি চার দিনের ম্যাচ খেলেন এবাদত। স্পিনবান্ধব উইকেটে অবশ্য তেমন সুবিধা করতে পারেননি। দুই ইনিংস মিলিয়ে নিতে পারেন শুধু ১ উইকেট। তবে নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো বোলিং করেন অভিজ্ঞ এই পেসার। মুশফিক ছাড়াও মুমিনুল হক ও সাদমান ইসলামের উইকেট নেন তিনি। ১১ ওভারে খরচ করেন ২৮ রান। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, শ্রীলঙ্কা সফরেও এবাদতের কাছ থেকে ভালো কিছু পেতে পারে দল। এবাদতের অন্তর্ভুক্তি অনেক বড় ব্যাপার। আমার মনে হয় অনেক দিন ধরে আমরা ওকে মিস করছিলাম। ও যে অবস্থানে থাকার পরে ইনজুরিতে পড়েছে, আমাদের দলের জন্য খারাপ সময় ছিল। আরও বোলার ছিল। তবে এবাদত ওর সেরা সময়টায় ইনজুরিতে পড়েছিল। এখন কামব্যাক করেছে। সুযোগ এলে আবার খেলবে। এটা দলের জন্য বাড়তি একটা শক্তি হিসেবে কাজ করবে। আশা করব সুযোগ এলে সেখানেও ভালো পারফর্ম করবে। প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছে। বেশ ফিট আছে। আশা করব ফিট থাকবে এবং দলের হয়ে ভালোভাবে অবদান রাখবে। গলে আগামী ১৭ জুন শুরু হবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট।