নগরীর শপিংমল–মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ক্রেতার আনাগোনা। ঈদের কেনাকাটার আমেজ পুরোপুরি শুরু না হলেও ইফতারের পর থেকে ক্রেতারা আসতে শুরু করেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানের প্রথম সপ্তাহে বেচাবিক্রি খুব বেশি হয় না। তবে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর থাকে মার্কেটগুলো। অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন, এ বছর মার্কেটে নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক এসেছে। কিন্তু বিক্রেতারা দাম বেশি হাঁকছেন বলে অভিযোগ করছেন তারা।
নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে দেখা যায়, বেশ কিছু দোকানে ক্রেতার আনাগোনা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতারা পছন্দের বিভিন্ন পোশাক দেখছেন এবং বিক্রেতার সাথে দরদামে মিললেই পছন্দে পোশাক কিনে বাড়ির পথ ধরছেন। গতকাল নগরীর স্যানমার ওশ্যান সিটিতে আসা ক্রেতা ওয়াসিফা নেওয়াজ বলেন, বন্ধুদের সাথে ঈদের কি কি কালেকশন এসেছে দেখতে এসেছি। আরো কয়েকটি মার্কেট ঘুরে তারপর কেনার সিদ্ধান্ত নেবো।
ইউনেস্কো সিটি সেন্টারে আসা গৃহিণী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বাচ্চার জন্য জামা নিতে এসেছি। সামনের দিনগুলোতে মার্কেটে ভিড় বেড়ে যাবে, তাই একটু আগেবাগে শপিং সারতে এসেছি। তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, মার্কেটে ইফতারের পর থেকে ক্রেতা বাড়ছে। আমাদের ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানি করেছেন। তবে মার্কেট পুরোপুরি জমে উঠবে ১৫ রমজানের পর থেকে। জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সদস্য সচিব ফজলুল আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, জহুর হকার্স মার্কেটে উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষের পছন্দের ঠিকানা। কারণ এখানে কম দামে খুব ভালো পণ্যটি ক্রেতারা বেছে নিতে পারেন। ঈদ উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এ বছরও আমাদের ব্যবসায়ীরা প্রচুর পরিমাণ পণ্য নিয়ে এসেছেন। এখন আহামরি বেচাবিক্রি হচ্ছে না। সামনের দিনগুলোতে আশা করি বেচাবিক্রি বাড়বে।
সানমার ওশান সিটি ও নাসিরাবাদের ফিনলে স্কয়ার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদ ইফতেখার বলেন, মার্কেটে এখন বেচাবিক্রি মাত্র শুরু হয়েছে বলা যায়। আমাদের ব্যবসায়ীরা আগের বছরের তুলনায় এ বছর ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন। কারণ সারা বছর আমরা এই একটি মাসের দিকে থাকিয়ে থাকে। আমরা আশা করি সময় গড়ানোর সাথে সাথে বিক্রিও বাড়বে।
