ইপিজেড এলাকায় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কমিটি

১০দিনের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২ অক্টোবর, ২০২০ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

ইপিজেড ও আশেপাশের এলাকার কর্মজীবী মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নানকে উপানুষ্ঠানিক পত্র দিয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। এরপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে জরিপসহ একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত বুধবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন।

কমিটিতে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের অফিসের উপপরিচালক ডা. মো. শফিকুল ইসলামকে সভাপতি, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বিকে সদস্য সচিব ও সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াজিদ চৌধুরীকে সদস্য করা হয়েছে। তাদের ১০দিনের মধ্যে জরিপসহ একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে ডা. সেখ ফজলে রাব্বি দৈনিক আজাদীকে বলেন, কমিটির সদস্যরা দ্রুত বসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, এটা আমাদের জন্য সুখবর। আমি উপানুষ্ঠানিক পত্র দিয়ে এ প্রস্তাব করেছিলাম। এর আগে ঢাকায় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা উপস্থাপন করি। তখন মন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে দাপ্তরিকভাবে প্রস্তাব দেয়ার পরামর্শ দেন। মন্ত্রণালয়ে দেয়া পত্রে সুজন বলেন, বন্দর থেকে শুরু করে পতেঙ্গা পর্যন্ত ও এর সন্নিহিত এলাকায় ইপিজেড, গার্মেন্টস, অসংখ্য শিল্পকারখানা ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে থাকেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশ নারী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচলন্ত গাড়ি থেকে ছিনতাই করে তারা
পরবর্তী নিবন্ধউত্তর প্রদেশে ফের দলবেঁধে ধর্ষণ তরুণীর মৃত্যু