নগরীর ইপিজেডে পাওনা টাকার বিরোধের জেরে এক ব্যবসায়ীকে খুনের মামলায় অপর এক ব্যবসায়ীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন, আব্দুর রহমান। তিনি গোপালগেঞ্জর মুকসুদপুর এলাকার বাসিন্দা।
গতকাল চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনিরা এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি আব্দুর রহমান কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রায়ে নাছির উদ্দিন নামের অপর একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ।
তিনি বলেন, খুনের দায়ে আব্দুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। এছাড়া অপর একটি ধারায় তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়ায় মোট ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান বেঞ্চ সহকারী। আদালতসূত্র জানায়, ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর নগরীর পাহাড়তলীর অলংকার আলিফ গলি থেকে ব্যবসায়ী বিজয় কুমার বিশ্বাসের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বিজয়ের ভাই সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস পাহাড়তলী থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১০ এপ্রিল আব্দুর রহমান ও তার কর্মচারী নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এতে বলা হয়, বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী বিজয় আর ঠিকাদার আব্দুর রহমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দুটিই ইপিজেডের নেভী ওয়েল ফেয়ার মার্কেটে ছিল। লাশ উদ্ধারের আগের দিন পাওনা টাকার বিরোধের জেরে বিজয়কে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডেকে নেন আব্দুর রহমান। সেখানে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিজয়কে হত্যা করা হয়। পরে তার লাশ গুমের উদ্দেশ্যে বস্তায় ভরে পাহাড়তলীর অলংকারের আলিফ গলিতে ফেলা হয়। আদালতসূত্র আরো জানায়, চার্জশিট দাখিল পরবর্তী ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।