ইপিজেডে বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহ

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৩ মার্চ, ২০২৫ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

নগরীর ইপিজেডে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। তার নাম মোহাম্মদ আইয়ুব নবী। জেলার বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা তিনি। নগরীর ইপিজেডের আকমল আলী রোডে বসবাস করতেন। পুলিশ বলছে, বন্ধুর স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে, এমন সন্দেহে ইফতারের পর বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আইয়ুবকে হত্যা করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাতে ইপিজেডের আকমল আলী রোডের সিডিএ বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সিজান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পলাতক রয়েছে সাইমন নামের অপর এক যুবক। নিহত আইয়ুবের ভাই আহম্মদ নবী জানিয়েছেন, আইয়ুব রেস্তোরাঁয় গ্রিল কারিগর হিসেবে কাজ করতেন। তার সাথে পলাতক সাইমনও বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন। তাদের বাসাও পাশাপাশি। দুজন ভালো বন্ধু ছিলেন। গ্রেপ্তার সিজানও তাদের বন্ধু। তিনি বলেন, সাইমন সন্দেহ করেছিল যে, তার স্ত্রীর সাথে আইয়ুবের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। আইয়ুবই বিষয়টি আমাকে ফোন করে জানিয়েছিল। এরমধ্যে সন্ধ্যার সময় অর্থাৎ ৭ টার দিকে (মঙ্গলবার) খবর আসে, বালুর মাঠে আইয়ুবকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, সন্দেহের জেরে কীভাবে এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে হত্যা করে? আমি মনে করি, আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে এটি একটি অপবাদ এবং অপবাদ দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান দৈনিক আজাদীকে বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় বালুর মাঠে এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখলে স্থানীয়রা ধরাধরি করে গাড়িতে করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের লোকজন লাশ শনাক্ত করেছে। এ ঘটনায় সিজান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি যে, নিহত আইয়ুব, গ্রেপ্তার সিজান এবং পলাতক সাইমন একে অপরের বন্ধু। এর মধ্যে সাইমনের স্ত্রীর সঙ্গে আইয়ুবের পরকীয়ার অভিযোগ ওঠে। এতে তাদের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে সাইমন ও সিজান মিলে আইয়ুবকে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনায় আইয়ুবের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছেন জানিয়ে ওসি বলেন, আমরা মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। পলাতক সাইমনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কী না তাও খোঁজা হচ্ছে। খুনের পেছনে প্রকৃত কী ঘটনা রয়েছে সেটিও আমরা তদন্ত করে দেখছি। ভিকটিম আইয়ুবের ভাই আহম্মদ নবী জানান, আইয়ুবের দুই স্ত্রী রয়েছে। দুই স্ত্রীর দুটি সন্তান রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঈদ ঘিরে জমজমাট অনলাইন ব্যবসা
পরবর্তী নিবন্ধএক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা-জাতিসংঘ মহাসচিব