ইপিজেডে জুতা কারখানায় শ্রমিকদের হামলা, ভাঙচুর

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৭ এপ্রিল, ২০২৫ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার (সিইপিজেড) ‘এক্সেলসিয়র সুজ’ নামের একটি জুতা তৈরির কারখানায় ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। এ ঘটনায় ২০২৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে মালিকপক্ষ দুপুর ১২টার দিকে কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে।

হামলার ঘটনায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলোপ্রতিষ্ঠানটির কিউসি ম্যানেজার কামরুল হাসান (৪০), এইচআর ম্যানেজার শাকিল (৩৫), বাবুল (৩২), আবদুল হাকিম (৬০), বিপ্লব (২৫), সাইমুল ইসলাম (২৩) ও মামুনুর রশিদ (৩২)। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন আহত শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চাকরি থেকে ছাঁটাই হওয়া ৪০ জন শ্রমিক জোর করে কারখানায় প্রবেশ করতে চাইলে নিরাপত্তারক্ষীরা বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা বাঁধা অতিক্রম করে কারখানার প্রবেশ গেট ভেঙ্গে কারখানায় ভাঙচুর ও কর্মকর্তা শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়।

জানা গেছে, কারখানায় ভাঙচুর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা ইপিজেড মোড় অবরোধ করে। এ সময় রাস্তার দু পাশে প্রায় দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। পরে পুলিশ সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের এসপি (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, এক্সেলসিয়র সুজ কারখানায় ৪০ জন শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ করছিলেন শ্রমিকরা। আজ (গতকাল) সকালে কারখানার গেট বন্ধ দেখতে পেয়ে তারা আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা গেট ভেঙে কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে শ্রমিককর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালান এবং ভাঙচুর করেন। আহতদের মধ্যে সাতজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে এক্সেলসিয়র সুজের মালিকপক্ষ ৪০ জন শ্রমিককে ছাঁটাইয়ের উদ্দেশ্যে চার মাসের বেতন সহ সমস্ত পাওনা পরিশোধ করে। তারপরেও তারা চাকরিতে বহাল করার জন্য দাবি জানিয়ে গণ্ডগোল করেছে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সোবহান বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের সকল পাওনা বুঝিয়ে দিলেও ওই কর্মীরা তাদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে বিক্ষোভ করে। তারা কারখানার বাইরের দিকে ভাঙচুর করলে কয়েকজন সামান্য আহত হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছোট ছেলের পর মারা গেলেন মা
পরবর্তী নিবন্ধসিএনজি টেক্সিতে ভাড়া নৈরাজ্য