ইপিজেডের নর্থপোল কারখানা আবার নিলামে

হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে যা জানাল বেপজা

হাসান আকবর | শনিবার , ২ আগস্ট, ২০২৫ at ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত থাকা চট্টগ্রাম ইপিজেডের নর্থপোল কারখানা আবারো নিলামে তোলা হয়েছে। সাড়ে চার বিঘা জায়গার তিনটি প্লট এবং এক লাখ বর্গফুটের বেশি আয়তনের ভবন এবং মেশিনারিজসহ সমুদয় মালামাল নিলামে তোলা হচ্ছে। নিলামে সফল দরদাতাকে কারখানা চালানোর শর্তে নর্থপোলের সবকিছু হস্তান্তর করা হবে বলে বেপজা সূত্র জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম ইপিজেড সূত্র জানিয়েছে, বেপজার তথ্যমতে, ইপিজেডের ৪ নম্বর সেক্টরের ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর প্লটের সাড়ে চার বিঘা জায়গার উপর গড়ে তোলা হয় এমএস নর্থপোল (বিডি) লিমিটেড নামের কারখানা। কারখানাটিতে তাঁবু, হ্যাভারশ্যাক, লাগেজ ও ব্যাগ তৈরি করে রপ্তানি করতো। কিন্তু এক পর্যায়ে কারখানাটির ব্যবসায় ধস নামে। বিশ্বব্যাপী চীনা এই কোম্পানির পণ্য বিক্রিতে ধস নামলে ইপিজেডস্থ কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১২ সালে ইপিজেডের কারখানা পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে বিনিয়োগকারীরা চলে যায়। এরপর বিভিন্ন সময় কারখানাটি নিলামে তোলা হয়। এর আগে আরো পাঁচবার নিলামে তোলা হলেও এবারই পুরো কারখানা একইসাথে নিলামে তোলা হলো। নানা ধরনের আইনি জটিলতায় আগের নিলামগুলো কার্যকর করা সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করে সূত্র জানিয়েছে, আগের আইনি জটিলতাগুলো এবার আর নেই।

চট্টগ্রাম ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান গতকাল দৈনিক আজাদীকে জানান, বিনিয়োগকারীরা কারখানাটি ফেলে চলে গেছে। ২০১২ সাল থেকে এগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। দেড় বিঘা করে তিনটি প্লটে কারখানার ভবন, অফিস, মেশিনারিজসহ নানা কিছু রয়েছে। সবকিছু এবার নিলামে তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, আগে হাইকোর্টে কিছু আইনি প্রক্রিয়া ছিল। ব্যাংকের অডিট ছিল। এবার সব কিছু সম্পন্ন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সফল দরদাতাকে কারখানাটি পরিচালনা করতে হবে বলেও জানান তিনি।

নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগ্রহী ক্রেতারা ৩ ও ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে ইনভেন্টরিকৃত ভবন, মেশিনারি, যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য মালামাল সরেজমিনে পরিদর্শন করতে পারবেন।

মালামালের তালিকা ও পরিদর্শনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চট্টগ্রাম ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

দরপত্র ফরম আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অফিস চলাকালীন চট্টগ্রাম ইপিজেড, ঢাকা ইপিজেড, আদমজী ইপিজেড, কুমিল্লা ইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেড, মোংলা ইপিজেড, ঈশ্বরদী ইপিজেড, উত্তরা ইপিজেড ও বেপজার নির্বাহী দপ্তরের হিসাব শাখা থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

আগামী ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে চট্টগ্রাম ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালকের দপ্তরে স্থাপিত নির্ধারিত টেন্ডারবাক্সে দরপত্র জমা দিতে হবে। দাখিলকৃত দরপত্রগুলো একইদিন বেলা সাড়ে ১২টায় দরদাতাদের উপস্থিতিতে খোলা হবে। সফল দরদাতাকে বেপজার প্রকল্প নির্দেশিকা অনুসরণ করে অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে এবং ইপিজেডে শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার অনুমতি নিতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশৃঙ্খলাবিরোধী কাজের সাথে যারা জড়িত বিএনপি তাদের পক্ষে নয় : সালাউদ্দিন
পরবর্তী নিবন্ধমার্কিন শুল্ক ২০ শতাংশ নির্ধারণ বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক : খলিলুর রহমান