সিঙ্গাপুরে দুই বছর আগে ইন্দোনেশীয় এক বান্ধবীকে হত্যার দায়ে এক বাংলাদেশী শ্রমিকের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের একজন জুডিশিয়াল কমিশনার আজ সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) এই রায় দেন বলে জানানো হয় স্ট্রেইটস টাইমসের এক প্রতিবেদনে।
সেলিম আহমেদ নামের ৩১ বছর বয়সী ঐ বাংলাদেশী একজন রঙমিস্ত্রি। আর তার ইন্দোনেশীয় বান্ধবী নুরিদাইয়াতি ভারতোনো সুরাত কাজ করতেন গৃহকর্মী হিসেবে। বিডিনিউজ
স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আরেক বাংলাদেশীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ইন্দোনেশীয় ঐ তরুণী। সেই সম্পর্ক ত্যাগ করতে রাজি না হওয়ায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর গেইলাংয়ের গোল্ডেন ড্রাগনস হোটেলের একটি কক্ষে তাকে হত্যা করেন সেলিম।
পত্রিকাটি লিখেছে, বিচারক যখন দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেন তখন সেলিম ছিলেন নির্বিকার।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১২ সালের মে মাসে পরিচয়ের পর সেলিম ও নুরিদাইয়াতির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং এক সময় তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিন্তু ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে সামিজুর রহমান সামিন নামে আরেক বাংলাদেমী কর্মীর সঙ্গে নুরিদাইয়াতির সম্পর্ক তৈরি হয়। এ নিয়ে নুরিদাইয়াতির সঙ্গে সেলিমের বাক-বিতণ্ডা হয় এবং নুরিদাইয়াতি নতুন সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন।
এরপর সেলিম দেশে তার মাকে তার বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে বলেন। পাত্রী খুঁজে পাওয়ার পর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিয়েও ঠিক হয় কিন্তু তার আগেই নুরিদাইয়াতির সঙ্গে সেলিমের আবার মিটমাট হয়ে যায় কিন্তু নুরিদাইয়াতির অন্য সম্পর্ক নিয়ে তাদের মধ্যে মাঝেমাঝেই ঝগড়া হচ্ছিল। একটি ঘটনায় একটি হোটেল কক্ষে সেলিম তার বান্ধবীর মুখে তোয়ালে চেপে ধরেছিলেন বলে মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৮ সালের শেষদিকে মোহাম্মদ আবু হানিফ নামে আরেক বাংলাদেশির সঙ্গে ফেইসবুকে পরিচয় হয় নুরিদাইয়াতির। এক পর্যায়ে সেলিমের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি তিনি হানিফকে জানান এবং সেই সম্পর্কে ইতি টানার প্রতিশ্রুতি দেন।
ঐ বছরের ৯ ডিসেম্বর সেলিমকে তিনি নতুন প্রেমিকের কথা বলেন এবং বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে মায়ের ঠিক করা পাত্রীকে বিয়ে করার পরামর্শ দেন। পরে ২৩ ডিসেম্বর টেলিফোনে সেলিমের সঙ্গে সম্পর্ক চ্ছিণ্ন করার কথা জানিয়ে দেন নুরিদাইয়াতি।
