ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল থেকে দেওয়া বিনামূল্যের খাবার খেয়ে চলতি বছর নয় হাজারের বেশি শিশু বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে দেশটির খাদ্য ও ওষুধ সংস্থা বুধবার জানিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এই সংখ্যা আগে যা জানা ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি। দেশটির আইনপ্রণেতারা স্কুলে দেওয়া খাবারের মান উন্নত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রয়টার্স জানিয়েছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার এই ঘটনাগুলো জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ানতোর এক হাজার ডলারের এই স্কুলে বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার কর্মসূচি স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো। কিন্তু প্রাবোও এর পক্ষ নিয়ে বলেছেন, যারা অসুস্থ হয়েছেন তাদের শতকরা হার অত্যন্ত কম। এর আগে দেশটির সরকার জানিয়েছিল, দেশজুড়ে ছয় হাজার শিশু বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল। পার্লামেন্টের এক শুনানিতে ইন্দোনেশিয়ার খাদ্য ও ওষুধ সংস্থা জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০৩টি বিষক্রিয়ার ঘটনায় ৯০৮৯ শিশু আক্রান্ত হয়েছে। সংস্থাটির প্রধান তারুনা ইকরার শুনানিতে বলেন, জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে শুরু করে অগাস্টে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, যে রান্নাঘরে খাবারগুলো পাক করা হয়েছে সেখান থেকেই সমস্যার উৎপত্তি। এসব রান্নাঘরের অধিকাংশই এক মাসেরও কম সময় আগে চালু করা হয়েছে। সংস্থাটির তদন্তের ভিত্তিতে ইকরার জানিয়েছেন, বিষক্রিয়ার উৎপত্তি হয়েছে রান্নার চার ঘণ্টা পর খাবার বিতরণ, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে উপকরণ সংরক্ষণ না করা এবং খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক জ্ঞানের অভাবের কারণে। স্কুলে বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার এই কর্মসূচি পরিচালনা করে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পুষ্টি সংস্থা। একই শুনানিতে সংস্থাটির প্রধান দাদন হিন্দায়না জানিয়েছেন, গত দুই মাস ধরে বিষক্রিয়ার ঘটনা হঠাৎ করে বেড়ে যায়, এর কারণ হল, রান্নাঘরগুলো মান লঙ্ঘন করছিল, দুই দিন আগে উপকরণ কেনার বাধ্যবাধকতা থাকলেও চার দিন আগে কেনার মতো অনিয়ম করা হচ্ছিল। তিনি দাবি করেন, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬৫১৭ শিশু বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল।
আইনপ্রণেতা এডি উরিয়ান্তো উল্লেখ করেন, আট হাজার রান্নাঘরের মধ্যে মাত্র ৩৬টি খাদ্য স্বাস্থ্যবিধি ও স্যানিটেশন ছাড়পত্র অর্জন করতে পেরেছে। আরেক আইনপ্রণেতা আদে রিজকি প্রাতামা এক রান্নাঘরের আওতায় থাকা শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।