আবার সচল হয়েছে উচ্চগতির থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট সেবা। সারাদেশে ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর এ সেবা চালু হয়।
এই সময়ে সারাদেশের মানুষ তাদের মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন। বিঘ্নিত হয়েছে মোবাইল অ্যাপভিত্তিক বিভিন্ন সেবাও। বিডিনিউজ
দেশের টেলকো কোম্পানিগুলোর একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশে আজ শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) ভোর ৫টা থেকে তারা থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট বন্ধ রেখেছিলেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশেই বিকাল ৫টার দিকে ঢাকায় আবার সেই সেবা চালু করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে সিলেট, রাজশাহী, বরিশালেও তা সচল হয়।
রাতেই সব অপারেটরের থ্রিজি ও ফোর জি সেবা স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়িয়ে দু’দিন আগে কুমিল্লাসহ কয়েকটি জেলায় দুর্গাপূজার মণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরের পর বুধবার থেকেই ছয় জেলায় উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
আজ শুক্রবার বিজয়া দশমীর দিন সকাল থেকে সারাদেশেই একই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে জানান মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
তাদের একজন বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ এ সেবা বন্ধ রাখতে বলেছিল বিটিআরসি। তবে বিটিআরসি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সকালে তিনি বলেন, “কারিগরি ক্রটির কারণেও এ সমস্যা হতে পারে, খুব দ্রুতই সমাধান হবে বলে আশা করি।”
দেশে সাড়ে ১৭ কোটি মোবাইল ফোন গ্রাহকের অর্ধেকের বেশি গ্রামীণফোনের সেবা নেন।
গ্রামীণফোন সকালে গ্রাহকদের এসএমএস করে জানায়, ‘বন্ধ ফোরজি ও থ্রিজি সেবা ফিরিয়ে আনতে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করছি। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত।’
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড তাদের গ্রাকদের এসএমএস পাঠিয়ে সতর্ক করে। সেখানে বলা হয়, ফোরজি ও থ্রিজি সেবা বন্ধ থাকায় কার্ডের মাধ্যমে তাদের সেবাও বিঘ্নিত হতে পারে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র সর্বশেষ হিসাবে দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে ১২ কোটি ছাড়িয়েছে; এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ১১ কোটি ৫৪ লাখ গ্রাহক।