ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আঘাত ও ক্ষয়ক্ষতি সামলানোর ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তার প্রস্তুতিমূলক মহড়া অনুশীলন করার মাধ্যমে নৌবাহিনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। কক্সবাজারের ইনানীতে দুই দিনব্যাপী মহড়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
মহড়ার অংশ হিসেবে ইনানীতে অবস্থিত নৌবাহিনী জেটি ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উপকূলীয় জেলে ও স্থানীয় লোকজনকে দ্রুততম সময়ে উদ্ধার, প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম অনুশীলন করা হয়। পাশাপাশি সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় নিয়োজিত নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজগুলোতে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সহায়তা সচল রাখার জন্য মহড়া পরিচালনা করা হয়।
এছাড়া নৌবাহিনী নির্মিত ইনানী জেটি ও তৎসংলগ্ন স্থাপনার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের মহড়াও অনুষ্ঠিত হয়। নৌবাহিনীর বিশেষায়িত সোয়াড্স কমান্ডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এ মহড়ায় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ, নেভাল এভিয়েশনের হেলিকপ্টার, বিশেষায়িত হাইস্পিড বোট এবং সোয়াড্স সদস্যরা অংশ নেন। সূত্র জানায়, আগামী ১৩ মে সন্ধ্যা থেকে ১৪ মে ভোরের মধ্যে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূলে ঝড় আঘাত হানতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে সেন্টমার্টিন। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ১৮০ থেকে ২২০ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হানতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে।