ইতিহাস বিকৃতির বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে

মুহাম্মদ শামসুল হক | বৃহস্পতিবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ

মুহাম্মদ শামসুল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণার কাজ করেছি। তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এটা করেছি জাতির স্বার্থে, ইতিহাস বিকৃতি যাতে না হয় সে লক্ষ্যে। পুরস্কারের আশায় করি নি।

এরপরও সরকারিভাবে কাজের স্বীকৃতি পুরস্কার পেয়ে আনন্দিত। এ পুরস্কার ভবিষ্যতে সঠিক ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে আমাকে আরো বেশি উৎসাহ যোগাবে। তিনি বলেন, দৈনিক আজাদীতে বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রবন্ধ লিখেছি। অন্যান্য পত্রিকায় লিখেছি। সেখান থেকেও উৎসাহ পেয়েছি। এ পর্যন্ত কয়টি গবেষণা প্রবন্ধ গ্রন্থ বেরিয়েছে জানতে চাইলে বলেন, এ পর্যন্ত ১৩টি প্রবন্ধ গ্রন্থ বেরিয়েছে। বেশিরভাগ গ্রন্থে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি নানাভাবে এসেছে। ৪৫০টির বেশি প্রবন্ধ লিখেছি সেখানেও ঘুরেফিরে মুক্তিযুদ্ধ স্থান পেয়েছে।

তিনি বলেন, মুুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল ১৫, কিন্তু অনেকটা বুদ্ধিদীপ্ত ছিলাম। আমার বড় ভাইও মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ হন। ১৯৭৫ সালের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির একটা ধারা চালু হয়েছে। এটা আমাকে আহত করেছে। আমি মনে করি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে নতুন প্রজন্মকে এ বিকৃতি থেকে রক্ষা করার চেষ্টা সবার করা উচিত। সেই অনুভূতি থেকে আমিও চেষ্টা করেছি। যাতে ভবিষ্যতে আর বিকৃতি না হয়। ইতিহাসের খসড়ার (মুহাম্মদ শামসুল হক সম্পাদিত) প্রতি সংখ্যায়ও মুক্তিযুদ্ধের একটি অংশ থাকে।

 

তিনি বলেন, আমার গবেষণাগুলো মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। ইতিহাস বিকৃতির বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনাসায় সুযোগ পেলেন চট্টগ্রামের আদিবা
পরবর্তী নিবন্ধকাজের ব্যাপারে আরেকটু আত্মবিশ্বাসী করে তুলল