ইতিহাস গড়ার দিন আজ

মিশন হোয়াইট ওয়াশে নামবে টাইগাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদন | শনিবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ এবং ভারত। শক্তির বিচারে অনেকটাই এগিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারত। কিন্তু মাঠের লড়াইটা ভিন্ন বলেই কিনা এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। মাঠে এতটা অসহায় কখনোই দেখা যায়নি ভারতকে। যেটা দেখা গেছে এই সিরিজে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান,
লোকেশ রাহুল কিংবা শ্রেয়াস আইয়ার। বিশ্ব ক্রিকেটে সমীহ জাগানো এই নামগুলো নিয়েও কিনা দলটি কুপোকাত টাইগারদের থাবায়। এরই মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের টানা দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হার নিশ্চিত করেছে তারা। এখন কেবল মান বাঁচানোর লড়াইয়ে বিরাট কোহলিরা। অপরদিকে সিরিজ নিশ্চিত করা বাংলাদেশের সামনে এখন ইতিহাস সৃষ্টির সুযোগ।
আজ মিশন হোয়াইট ওয়াশে নামবে টাইগাররা। বাংলাদেশের ক্রিকেটের লাকি গ্রাউন্ড চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আরো একটি জয়ের মিশনে নামবে তারা। খেলাটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টায়। এখন বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষা করছে অনেক বড় একটি সুযোগ। ভারতও যেমন করতে পারেনি তেমন কিছু করার সামনে দাঁড়িয়ে আজ টাইগাররা।
ভারতের বিপক্ষে কখনোই ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। ২০০৪ সালে দুই দলের প্রথম তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের একটিতে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। এরপর ২০০৭ ও ২০১৪ সালে তিন ম্যাচের সিরিজে বৃষ্টিতে ভেসে যায় একটি করে ম্যাচ। আর সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সিরিজ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। ফলে বাংলাদেশ যেমন কখনোই টানা তিন ম্যাচ জিতেনি ভারতের বিপক্ষে তেমনি ভারতও বাংলাদেশকে টানা তিন ম্যাচে হারাতে পারেনি কোনো সিরিজে। এখন বাংলাদেশের সামনে সেই সুবর্ণ সুযোগ। তাইতো টানা দুই ম্যাচ জেতার পরের কাজ শেষ হয়নি বলে মনে করেন সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা শেন ম্যাকডরমট। টাইগারদের এই ফিল্ডিং কোচ মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারার সুবর্ণ সুযোগের কথা। এই সুযোগ বারবার আসবে না। তাই এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমরা জানি দল হিসেবে আমরা কিছু সাফল্য পেয়েছি। সে সাথে আছে কিছু ব্যর্থতাও। কিন্তু আমরা কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচকে হালকাভাবে নিতে চাই না। আমরা প্রথম ম্যাচের পর সেটাকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতেছি। এখন শেষ ম্যাচটি রাঙানোর পালা। বাংলাদেশ কখনো ভারতকে ৩-০ ব্যবধানে হারায়নি। এটাই এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। না জিতলেও আমাদের যেন সহজে না হারানো যায় সেটা নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। আমরা নিউজিল্যান্ডে কিছু ম্যাচে জয়ের কাছাকাছি গিয়েছিলাম। পাকিস্তানের বিপক্ষেও বিশ্বকাপে জয়ের খুব কাছাকাছি এসেছিলাম। সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনাও ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু শেষটা রাঙাতে পারিনি। তবে এবারে আর সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না বাংলাদেশ। যদিও দল জানে কাজটা বেশ কঠিন। তারপরও মনে রাখতে সুযোগ বারবার আসবে না। তাই যখনই এসেছে তখনই সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। তেমনটাই মনে করেন এই ফিল্ডিং কোচ।
দলের হার না মানসিকতাকেও এসময় মনে করিয়ে দেন ফিল্ডিং কোচ ম্যাকডারমট। তিনি বলেন, আমরা প্রতিযোগিতাপূর্ণ দলের মতো খেলেছি। বাংলাদেশ সহজে হার মানে না। এর মানে হচ্ছে আমরা প্রায়ই চাপের মুখে খেলছি। জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন আমরা সে ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। আমি জানি দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ের পর ছেলেরা আরও একটি জয়ের অপেক্ষায় আছে। সে সাথে এদেশের ক্রিকেট প্রেমীরা চাইছে আজ আরেকটি জয় তুলে নিক বাংলাদেশ দল। তবে ভারতও যে ছেড়ে কথা বলবে না সেটাতো জানাই আছে। অন্তত শেষ ম্যাাচটা যেন না হারে সেদিকেই নজর কোহলিদের। অন্তত মান বাঁচাতে চায় ভারত। প্রথম দুই ম্যাচে বলতে গেলে বাংলাদেশের মিরাজ একাই লড়াই করেছে। তার নৈপুণ্যের কাছে হেরেছে ভারত। তবে শেষ ম্যাচটাতে সবাই মিলে অব্দান রাখতে চায়। ভারত এই ম্যাচটা খেলতে নামছে তাদের অধিনায়ককে ছাড়াই। ইনজুরি আক্রান্ত হয়ে তিনি ফিরে গেছেন দেশে। তাই দলের এই সময়ে হালটা ধরতে হবে কোহলি-রাহুলদের। আর সে জন্যও তারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। এখন দেখার অপেক্ষা আজ ইতিহাস গড়তে পারে কিনা বাংলাদেশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে আজ রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগ
পরবর্তী নিবন্ধনারী জাগরণের মধ্যেই সম্মিলিত অংশগ্রহণে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে : প্রধানমন্ত্রী