৩২ বছর বয়সী নারী রাজনীতিক সোফিয়া ফিরদৌস। কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে ওড়িশার বারাবতী–কটক আসন থেকে প্রথম মুসলিম নারী বিধায়ক (এমএলএ) পদে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। ইতিহাস গড়ে ভারতের আলোচিত অঞ্চলটিতে এমএলএ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বিজেপির পূর্ণচন্দ্র মহাপাত্রকে ৮ হাজার এক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন তিনি। সোফিয়া ফিরদৌস কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা মোহাম্মদ মকিমের মেয়ে। খবর বাংলানিউজের।
২০২৪ সালের ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তার বাবার স্থলাভিষিক্ত হন এবং নির্বাচনে জয় পেলেন। সোফিয়া কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ২০২২ সালে ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (আইআইএমবি) থেকে এক্সিকিউটিভ জেনারেল ম্যানেজমেন্টে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০২৩ সালে কনফেডারেশন্স অব রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (ক্রেডাই) ভুবনেশ্বর চ্যাপ্টারের সভাপতি নির্বাচিত হন সোফিয়া। সংগঠনের নারী শাখার পূর্ব জোনের সমন্বয়ক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (সিআইআই) ভুবনেশ্বর চ্যাপ্টারের কো–চেয়ার ও আইএনডব্লিউইসির কোর মেম্বার ছিলেন সোফিয়া। তার স্বামী বিশিষ্ট শিল্পপতি শেখ মিরাজ উল হক। ওড়িশার প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী নন্দিনী শতপথীও আসন থেকেই ১৯৭২ সালে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন।