‘সাধারণ লোকজনের অসাধারণ জীবন যাপন’। এ কথাটি কেমন যেন অবাক করার মত তাই না।তাহলে ব্যাখ্যায় আসি চলুন। সাধারণ লোকজনেরও সমস্যা থাকে, বাধা, দুঃখ, হতাশা, সম্পদের অভাব থাকে কিন্তু তারপরও তারা ইতিবাচক চিন্তা এবং সেই অনুযায়ী ইতিবাচক কাজ করে জীবনে সামনে এগিয়ে যায়। ইহাই জীবন। জীবনে সমস্যা থাকবেই কিন্তু সমস্যার কারণে, নেতিবাচক চিন্তা করে, ভয়ে ভীত হয়ে বসে থাকা যাবে না। এগিয়ে যেতে হবে ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গি সাথে নিয়ে। আপনার হৃদয়কে ঘৃণা থেকে দূরে রাখুন, আপনার মনকে উদ্বিগ্নতা থেকে দূরে রাখুন। সহজভাবে বাঁচুন, অল্প প্রত্যাশা করুন, বেশি প্রদান করুন। সূর্যরশ্মির আলোকিত কিরণ দেখুন, নিজেকে ভুলে যান, অন্যান্যদের কথা চিন্তা করুন। এক সপ্তাহের জন্য এই চেষ্টাটুকু আপনার জীবনে আমূল পরিবর্তন এনে দিবে। মানুষের মনের ভাবনা বা চিন্তা একটা শক্তিরূপে কাজ করে। নিজের মনকে নিয়ন্ত্রিত রেখে সেই নিয়ন্ত্রিত মনের চিন্তা শক্তিকে ভালো ও ইতিবাচক কাজে ব্যবহার করতে পারলে অনেক ভালো ও উদ্দীপক ফল পাওয়া যায়। আমাদের চিন্তা–ভাবনাগুলো মূলত ভালো বা মন্দ দু’ধরনেরই হয়। ভালো বা ইতিবাচক চিন্তা আমাদেরকে জোগায় ভালো উদ্দীপক শক্তি, দেহ মনকে করে উজ্জীবিত, সৃজনশীল আর সুন্দর। আর মন্দ বা খারাপ বা নেতিবাচক কুচিন্তা মনের দিক থেকে এবং দেহের দিক থেকেও আমাদেরকে দুর্বল করে তোলে। এতে প্রেরণাধর্মী কোনও শক্তিতো জোগায়ই না বরং সার্বিকভাবে দেহ–মনকে করে তোলে অবসাদগ্রস্ত প্রেরণাহীন। প্রতিটি মানুষের জীবনে থাকে সাফল্য, থাকে ব্যর্থতা। জীবনের সব সুখের কথা, ভালো ঘটনা, সাফল্য ইত্যাদি নিয়ে বেশি ভাবতে চাই না। সাফল্যের মাঝে যে কিছু কিছু দুঃখ–কষ্টের কথা, বেদনাময় স্মৃতি, খারাপ ঘটনা, ব্যর্থতা ইত্যাদি থাকে তাকেই আমরা বেশি গুরুত্ব দেই তা জেনে হোক বা অজান্তেই হোক। এই গুরুত্ব দেয়াটাই জন্ম দেয় অনেক হতাশা, অনেক দুশ্চিন্তা আর অনেক টেনশনের।
জীবনের অনেক ছোট বড় বাধাকে উৎরাতে পারবো অতি সহজেই, মন হয়ে উঠবে সাহসী, যে কোনও ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কখনো ভীত হবো না। আপনার জীবন চলার পথে সর্বধরনের ভালো বা সুখের ঘটনা বা স্মৃতিকে প্রাধান্য দেয়া বা সবসময় মনে করাটাই পজিটিভ বা ইতিবাচক মনোবৃত্তি। এখন থেকে সব চিন্তা চেতনার মধ্যে ইতিবাচক মনোবৃত্তিকে প্রাধান্য দিতে শুরু করুন। দেখবেন অবশ্যই লাভবান হবেন আপনি। জীবনের সব কিছুকে সহজ ও সাবলীলভাবে গ্রহণ করুন।