নগরীর এস এস খালেদ রোডে ইতালিয়ান নাগরিকের হাতব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও ছিনতাইয়ে জড়িত আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইতোপূর্বে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত সিএনজি টেক্সিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে ফটিকছড়ির উত্তর ধুরুং এলাকায় অভিযান চালিয়ে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ইকবালের বাড়ির মো. আরাফাত মিয়াকে (২১) গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান কোতোয়ালী জোনের এসি অতনু চক্রবর্ত্তী। এর আগে চকবাজার, সিনেমা প্যালেস ও পুরাতন রেল স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কল্পলোক আবাসিক খালেক কোম্পানির কলোনির মো. রুবেল (২৯), মীরসরাইয়ের মধ্যম তালবাড়িয়া শফি খানের বাড়ির নুর উদ্দিন প্রকাশ রিয়াজ (৩২) ও নোয়াখালীর কবির হাট আনোয়ার আলী জমদ্দার বাড়ির মো. মুমিনকে (৫২)।
প্রসঙ্গত, ২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্ণফুলী টাওয়ারের সামনে আলোকচিত্রী ক্রিস্টিনা জ্যামা ক্যাপরা (৫৮) ছিনতাইয়ের শিকার হন। সিএনজি টেঙি নিয়ে আসা ছিনতাইকারীরা তাকে ভয় দেখিয়ে সাথে থাকা একটি কালো রঙের হাত ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। সেটিতে ছিল ইতালিয়ান ব্যাংকের ২টি ক্রেডিট কার্ড, নগদ ৩০ হাজার টাকা ও ১টি মোবাইল সেট। এ ঘটনায় তিনি কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী এডিসি (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা জানান, চার সদস্যের এই ছিনতাইকারী চক্র দীর্ঘদিন যাবত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করে আসছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের একজন সিএনজি টেঙি চালায় এবং অপর দুইজন টেঙির পিছনের সিটে যাত্রীবেশে বসে রাতের বেলায় ঘোরাঘুরি করতে থাকে। তারা টার্গেটকে অনুসরণ করে নির্জন জায়গায় কৌশলে ভয় দেখিয়ে পথচারী ও যাত্রীদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ছিনতাইকৃত মালামাল অন্যদের কাছে কম দামে বিক্রি করে।
