ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও জাল পাতা বন্ধের দাবি

বিপন্ন হচ্ছে হালদার ডলফিন

রাউজান প্রতিনিধি | বুধবার , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে একের পর এক মারা যাচ্ছে ডলফিন। গত চার বছরে এই নদীর ৩৩টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত রোববার মাদর্শা এলাকায় একটি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। মারা যাওয়া বেশিরভাগ ডলফিনের গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। নৌ পুলিশ ও প্রশাসনের ভ্রাম্যমান টহল যান থাকলেও বন্ধ করা যাচ্ছে না জাল পাতা আর ছোট বড় যান্ত্রিক নৌ যান চলাচল। স্থানীয় সচেতন মহল অবিলম্বে এসব ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও জাল পাতা বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, অধিকাংশ মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে হালদার কচুখাইন থেকে মাদর্শা আমতুয়া এলাকার মধ্যে। হালদার মুখ থেকে আনুমানিক ১৫ কিলোমিটার উজানের গড়দুয়ারা পর্যন্ত জাল পেতে মাছ শিকার তৎপরতা রয়েছে। নদী পাড়ের বাসিন্দারা বলছেন, এই এলাকায় সংঘবদ্ধ চোরের দল রাতের বেলা নদীতে বড় জাল পেতে মাছ শিকার করে। তাছাড়া নদীতে বালুবাহী নৌ যান চলাচল করে অবাধে। স্থানীয়রা জানান, হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে নদীতে নেমে অভিযান চালিয়ে জাল ও নৌকা জব্দ করে ধ্বংস করলেও জাল পাতা ও নৌ যান চলাচল বন্ধ হচ্ছে না।
কর্ণফুলী ও হালদার সংযোগস্থলে কয়েকশ বালুবাহী নৌ যান চলাচল করে। তাদের ধারণা, যান্ত্রিক নৌ যানের পাখার আঘাতে ডলফিল মারা যাচ্ছে। কিছু কিছু ডলফিন জালে আটকেও মারা যাচ্ছে। হালদার প্রাণী বৈচিত্র রক্ষা করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ থাকতে হবে। রাউজান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কোনো নৌ যান না থাকায় নিয়মিত অভিযান চালাতে পারি না। তারপরও হালদা নদীতে প্রশাসনের অভিযানে গত চার বছরে কয়েক লাখ মিটার জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণীবিদ্যা বিভোগের অধ্যাপক ও হালদা রির্সাচ কেন্দ্রের সমন্বয়ক মনজুরুল কিবরীয়া একের পর এক ডলফিন মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে বিজয় মেলায় ৩২ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা
পরবর্তী নিবন্ধপটিয়ায় ১শ মুক্তিযোদ্ধা পেলেন হেলথ কার্ড