ইচ্ছেমতো পার্কিং বাড়ছে দুর্ঘটনা

ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়ক

মীরসরাই প্রতিনিধি | শনিবার , ২ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্কিংয়ের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে কিছু পেট্রোল পাম্প ও হোটেল রেস্তোঁরা কেন্দ্রিক ইচ্ছেমতো ট্রাকের লাইন মহাসড়কের বিশাল অংশ দখল করে রাখে। আবার অনেকস্থানে অযথাই যানবাহনসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী গাড়ি পার্কিং করে রাখে খামখেয়ালীভাবে। কিন্তু এতে করে অনেক সময় দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে প্রাণ ও হারাচ্ছে অনেকে। বাড়ছে সিএনজি ও অটো রিঙা চলাচল বৃদ্ধি। একই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা। বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই।
ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই উপজেলার অনেক দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা রয়েছে। এর মধ্যে মীরসরাই পৌর এলাকার সুফিয়া রোড অন্যতম। গত বুধবার তালবাড়িয়ার স্বপন কুমার নামে এক ব্যক্তি মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করে। গত কয়েক বছরে এখানে অন্তঃত ১০ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে। কয়েক মাস আগেও এক মহিলা মৃত্যুবরণ করে। এছাড়া নয়দুয়ারিয়া, খৈয়াছরা, সোনাপাহাড়, ঠাকুরদীঘি এলাকাও দুর্ঘটনাপ্রবণ। এক বছর পূর্বে ঠাকুরদীঘিতে একসাথে অন্তত ৪ ব্যক্তির মৃত্যু ছাড়া ও কয়েক বছরে অন্তত ২০ জনের মৃত্যূ ঘটেছে। সোনাহাপাড় এলাকায় ও দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই। উপজেলার বিভিন্ন সিএনজি ফিলিং স্টেশনের দুপাশে গড়ে উঠা বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁর সামনে লাইন ধরে মহাসড়কের উপরই পার্কিং করছে গাড়িগুলো। অথচ এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, করোনার প্রভাব কোনভাবেই মহাসড়কের উপর পড়েনি। উল্টো করোনার প্রভাবের দরুণ চলাচলের বিধিনিষেধ শিথিল করার পর উল্টো পূর্বের চেয়ে যেন বেড়ে গেছে পণ্যবাহী যান। এছাড়া এমনিতেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন করার পর গত কয়েক বছরে যানবাহনের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কয়েকগুণ। একসাথে কয়েক সেকেন্ড বিরতি নেই কখনোই যানবাহনের। বরং দিনের অধিকাংশ সময় ট্রাকের লাইন থাকে দুই লেইনেই। বিশেষ করে সকাল বেলা চট্টগ্রামমুখী আর বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকামুখী লেনে সারিবদ্ধভাবে চলতে হয় ট্রাকগুলোকে। এতে দূরপাল্লার বাসগুলো ও যথাযথ গতি নিয়ে চলতে পারেনা। আবার রাস্তার উপর পার্কিং করা গাড়িগুলোর জন্য প্রায়ই লেগে যায় যানজট। কেউ কেউ পতিত হয় দুর্ঘটনায়। অনেকে আবার কোন কারণ ছাড়াই সড়কের উপর পিকআপ বা ট্রাক রেখে লাপাত্তা হয়অ। সুফিয়া রোড এলাকায় মহাসড়কের উপরই সমিলে গাছের স্তূপ, নিজামপুর এলাকায় বালুর স্তূপ, বারইয়ারহাটে বাস ট্রাকের স্টান্ড, এভাবে যে যার মতোই ব্যবহার করছে ব্যস্ততম এই মহাসড়ক। এছাড়া যে কোথাও যে কেউ ট্রাক বা গাড়ি ফেলে রাখছে দিনের পর দিন। বারইয়ারহাট বাজারের দুপাশে যা নিয়মিত চিত্র। প্রফেসর ডা. জামশেদ আলম বলেন, মহাসড়কের বর্তমান অবস্থান এমন যে এই সড়ক খুব শীঘ্রই আরো চার লেন বৃদ্ধি না করলে অথবা ট্রাকের জন্য আলাদা লেন না করলে শীঘ্রই ঢাকা ু চট্টগ্রামের দূরত্ব আবার ১০ ঘন্টা লাগবে। তবু ও এর মধ্যে ট্রাফিক নিয়মগুলো কার্যকর করা ও উচিত। এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ ফিরোজ হোসাইন বলেন, করোনাকালীন মহাসড়কের কিছু শিথিল নির্দেশনার পর আমরা এসব বিষয়ে আর পুনঃনির্দেশনা পাইনি। তবে এসব অনিয়মের বিষয়ে শীঘ্রই নির্দেশনা আসবে আশা করছি। আমরা এসব বিষয়ে এখন থেকে নিয়মিত অভিযানে নামবো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর, আটক ১
পরবর্তী নিবন্ধমানভেদে চালের দাম কমেছে বস্তায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা