নোবেলবিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস চেয়ারম্যান– এমন সাতটি প্রতিষ্ঠান নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদ বলেছেন, সবগুলো প্রতিষ্ঠানই তাদের ব্যাংকের অর্থে গড়া হয়েছে। সেগুলোতে আইনগতভাবেই চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখানে ‘জবরদখল’ এর কিছু নেই। প্রতিষ্ঠানগুলো ‘জবর দখলের’ বিষয়ে ইউনূসের অভিযোগের এক দিন পর শনিবার গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাইফুল মজিদ। তিনি উল্টো ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ ব্যাংকের টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন, বলেছেন এর তথ্যপ্রমাণ তাদের কাছে আছে। গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় গড়া প্রতিষ্ঠানে কয়েক বছরের হিসাবও পাওয়া যাচ্ছে না, এমন তথ্যও দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে। খবর বিডিনিউজের।
প্রতিষ্ঠান জবরদখলের অভিযোগ এনে ইউনূসের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সব প্রতিষ্ঠানই তৈরি করা হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায়। এসব প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের। সাতটা প্রতিষ্ঠানে আইন মত চিঠি পাঠানো হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের আইনি অধিকারগুলো ফিরিয়ে আনা হবে। এগুলো অধ্যাপক ইউনুসের প্রতিষ্ঠান নয়। টাকাগুলো গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গেছে।’ যে সাতটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে এই আলোচনা, সেগুলো হল: গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ সামগ্রী ও গ্রামীণ শক্তি। সাতটি প্রতিষ্ঠানেরই চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনুস। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে গ্রামীণ ব্যাংক।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকম ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. ইউনূস দাবি করেন, গ্রামীণ ব্যাংক তাদের আটটি প্রতিষ্ঠান জবরদখল করে তাদের মতো করে চালাচ্ছে। পুলিশের কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইলেও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।