রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, রাশিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধে ওয়াশিংটন ও এর মিত্রদের কাছ থেকে পরাজয় ঠেকাতে রাশিয়া যেকোনো উপায় অবলম্বন করবে। মার্কিন সাংবাদিক টাকার কার্লসনের সঙ্গে ল্যাভরভের ৮০ মিনিটের একটি সাক্ষাৎকার সম্প্রচার হয়েছে বৃহস্পতিবার। সেই সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ পশ্চিমাদেরকে রাশিয়ার নির্ধারণ করে দেওয়া সীমাকে গুরুত্বসহকারে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্পর্কেও ইতিবাচক কথা বলেছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিয়েভকে ওয়াশিংটনের সমর্থনের কারণে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র এ মুহূর্তে যুদ্ধের মধ্যে আছে বলে তিনি মনে করেন না। আর কোনো ক্ষেত্রেই যুদ্ধ রাশিয়া চায় না। রাশিয়া তার সব প্রতিবেশী দেশ এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিশাল দেশের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কই রাখতে চায়। কিন্তু ল্যাভরভ এও বলেন যে, গত মাসে ইউক্রেনের শহরে ওরেশনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে রাশিয়া এই সংকেতই দিয়েছে যে, তাদের হুঁশিয়ারিকে পশ্চিমাদেরকে গুরুত্বের সঙ্গেই নিতে হবে।
গত মাসে ইউক্রেনের নিপ্রো শহরে ওরেশনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ হামলাকে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা বলে বর্ণনা করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেন। মার্কিন সাংবাদিক টাকার কার্লসনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ বলেন, আমাদের বার্তা হল, আপনি, মানে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা যারা কিয়েভ সরকারকে দূরপাল্লার অস্ত্রও সরবরাহ করে– তাদের অবশ্যই বুঝতে হবে, আমরা যেকোনো উপায় অবলম্বন করতে প্রস্তুত থাকব; যাতে তারা রাশিয়াকে কৌশলগত পরাজয়ের মুখে ফেলতে সফল না হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, তারা সারা বিশ্বে, যেকোনও দেশে, যেকোনও অঞ্চলে, যেকোনও মহাদেশে আধিপত্য বজায় রাখার জন্য লড়াই করে। আর আমরা আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে লড়াই করি। এই স্বার্থ রক্ষায় আমরা যেকোনও কিছু করতে প্রস্তুত থাকব।