ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় ক্রেমেনচুকের নগরীর একটি ব্যস্ত শপিং সেন্টারে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। খবর বিডিনিউজের।
হামলার সময় সেখানে ১ হাজারের বেশি মানুষ ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে না পারলেও জেলেনস্কি বলেছেন, কত মানুষ যে হতাহত হবে তা চিন্তাও করা যাচ্ছে না। প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের উপ-প্রধান কর্মকর্তা কিরিলো টিমোশেঙ্কো গতকাল জানান, হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা গেছে শপিং মলটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে এবং আকাশ ছেয়ে গেছে ঘন কালো ধোঁয়ায়। অগ্নিনির্বাপণ কর্মী ও সেনারা ধ্বংসস্তুপের ভেতরে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। ধ্বংসস্তুপের নিচে কত মানুষ চাপা পড়ে আছে তা তাদের জানা নেই।
ইউক্রেনের পোলতভা অঞ্চলের প্রধান দিমিত্রো লুনিন বলেছেন, শপিং মলে হামলা চালিয়ে রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ করেছে। টেলিগ্রামে তিনি লেখেন, শপিং মলে এখনও আগুন জ্বলতে থাকায় ঠিক কত মানুষ হতাহত হয়েছে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না।
ক্রেমেনচুকের শপিং মলে হামলার নিন্দা করে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কার্যালয়ের উপ-প্রধান কর্মকর্তা টিমোশেঙ্কো বলেছেন, মানুষজন ভর্তি একটি ব্যস্ত শপিং সেন্টারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার আরেকটি যুদ্ধাপরাধ। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এটি প্রকাশ্যেই বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতা।
বিবিসি জানায়, ক্রেমেনচুকে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এটিই প্রথম নয়। যুদ্ধে এর আগে এই নগরীর একটি তেল শোধনাগার এবং অন্যান্য অবকাঠামোয় রাশিয়ার সেনারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছিল। তেল শোধনাগারে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পোলতভার গভর্নর জানিয়েছিলেন, স্থাপনাটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।











