রাশিয়ার সবচেয়ে বড় আকাশ হামলায় ইউক্রেইনের রাজধানী কিয়েভে প্রধান সরকারি ভবনে আগুন ধরে গেছে আর এক নাবালকসহ অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
ধ্বংসস্তূপ থেকে ওই শিশুটির লাশ বের করা হয়েছে। রোববার ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুরো যুদ্ধের মধ্যে এটি রাতে রাশিয়ার চালানো সবচেয়ে বড় আকাশ হামলা। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সভিরিদেনকো টেলিগ্রাম অ্যাপে বলেছেন, এই প্রথমবারের মতো শত্রুর আঘাতে সরকারি ভবনটির ছাদ ও উপরের তলাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হল। উদ্ধারকারীরা আগুন নেভাচ্ছেন।
ইউক্রেন সরকারের প্রধান ভবনের সর্বোচ্চ তলাটি আগুনে পুড়তে দেখেছেন রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা। সূর্যোদয়ের পর ঐতিহাসিক পেচেরস্কি ডিস্ট্রিক্টের ভবনটি থেকে শরতের পরিষ্কার আকাশে ঘন কালো ধোঁয়া উঠতে দেখেছেন তারা। টেলিগ্রামে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাতে রাশিয়া ইউক্রেনে ৮০৫টি ড্রোন ও ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র যোগে হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো ৭৫১টি ড্রোন ও চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। রয়টার্স লিখেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে দেশটিতে হামলা চালাতে মস্কো এবারই সবচেয়ে বেশি ড্রোন ব্যবহার করেছে। কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তাকাচেঙ্কো জানিয়েছেন, হামলায় নিপ্রো নদীর পূর্ব তীরের দানিটস্কি ডিস্ট্রিক্টে একটি চারতলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে ওই বাচ্চাটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখানে এক তরুণীও নিহত হয়েছেন। জরুরি পরিষেবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় শহরজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ও ১৮ জন আহত হন। মস্কো তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। উভয়পক্ষই বেসামরিকদের লক্ষ্যস্থল করার কথা অস্বীকার করেছে। তারপরও এ যুদ্ধে হাজার হাজার বেসামরিক নিহত হয়েছেন।
