প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশ সফর শেষে ইউক্রেনে ফেরার পর দেশটির বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র মেরেছে রাশিয়া। শুক্রবার তাদের হামলায় ইউক্রেনজুড়ে বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় মস্কোর দীর্ঘ–প্রতীক্ষিত আক্রমণও শুরু হওয়ার পথে বলে ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী বলেছে, রুশ সেনারা ইউক্রেনজুড়ে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ১২টি বিমান ও ২০টি গোলা হামলা হয়েছে। মস্কোর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৬১টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে বলেও ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছে তারা। দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী হারমান হালুশ্চেঙ্কো বলেছেন, ছয়টি অঞ্চলের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যে কারণে ইউক্রেনের অধিকাংশ এলাকা অন্ধকারে ডুবে আছে। খবর বিডিনিউজের।
এদিকে ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বর্ষপূর্তির আগ দিয়ে ২০–২২ ফেব্রুয়ারি পোল্যান্ড সফর করে কিয়েভের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্র যে ইউক্রেনকে আরও নিরাপত্তা সহায়তা ও আর্থিক সাহায্য দিয়ে যাবে তাও স্পষ্ট করবেন তিনি। আগামী সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কর্মীরাও ওয়ারশতে ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসবেন বলে বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত এক কর্মকর্তা শুক্রবার রয়টার্সকে জানিয়েছেন। ওই বৈঠকে কিয়েভ আইএমএফের কাছ থেকে কয়েকশ কোটি ডলার ধার পেতে চাপ দেবে। রাশিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগেই জেলেনস্কি ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ সফর শেষে দেশে ফিরেছেন, এবারের সফরে মিত্ররা তাকে উৎসাহের সঙ্গে বরণ করে নিলেও যুদ্ধবিমান দেওয়ার বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। রাশিয়াকে সাধারণত যুদ্ধ বা কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ইউক্রেনের যে কোনো অগ্রগতির পাল্টায় প্রতিবেশী দেশটিতে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র মারতে দেখা যায়।












