ইউক্রেন ও এর পশ্চিমা সমর্থকদের কাছ থেকে হামলার স্পষ্ট হুমকি আছে উল্লেখ করে প্রয়োজনে এর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। হুমকি মোকাবেলায় এরই মধ্যে ইউক্রেনের কাছে রুশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে বেলারুশের সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও সোমবার জানিয়েছেন তিনি। ১৯৯৪ সাল থেকে বেলারুশের ক্ষমতায় আছেন অ্যালেক্সান্ডার লুকাশোঙ্কো। তার এমন বক্তব্য থেকে ইউক্রেন যুদ্ধ আরও মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ইউক্রেনের উত্তরে রাশিয়া- বেলারুশ যৌথ বাহিনী মোতায়েন পরিস্থিতিকে আরও সঙ্গীন করে তুলতে পারে। খবর বিডিনিউজের।
নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বলেছেন, বেলারুশের ভূখণ্ডে হামলা আজ কেবল ইউক্রেনে আলোচনাই করা হচ্ছে না বরং এর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। তাদের মালিকরা বেলারুশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার জন্য চাপ দিচ্ছে, যাতে আমাদেরকে সেখানে টেনে নেওয়া যায়। তবে বৈঠকে লুকাশেঙ্কো এমন কথা বললেও এই দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি। তিনি বলেন, আমরা কয়েকদশক থেকেই এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রয়োজন হলে আমরা জবাব দেব। সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক বৈঠকে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন লুকাশেঙ্কো।
তিনি জানান, আঞ্চলিক একটি সামরিক দল মোতায়েন করা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে তার মতৈক্য হয়েছে এবং দু’দিন আগে একসঙ্গে সেনা একত্রিত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। শনিবার ক্রাইমিয়ায় রাশিয়ার সড়ক ও রেল সেতুতে হামলার ঘটনার পর দৃশ্যত এই তোড়জোড় শুরু হয়। লুকাশেঙ্কো বলেন, ইউক্রেন ক্রাইমিয়ান ব্রিজ ২ নিয়ে পরিকল্পনা করেছে বলে বেসরকারি একটি চ্যানেলের মাধ্যমে বেলারুশ একটি সতর্কবার্তা পেয়েছিল। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি।
সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, আমার উত্তর সহজ: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্য পাগলদের বলুন, তারা যদি আমাদের ভূখন্ডের এক মিটারও স্পর্শ করে তাহলে এমন জবাব পাবে যে, ক্রাইমিয়ার সেতু তখন তাদের কাছে তুচ্ছ মনে হবে।
বেলারুশের সেনাবাহিনীতে আছে প্রায় ৬০ হাজার সদস্য। এ বছরের শুরুতে বেলারুশ কয়েক হাজার সদস্যের ৬ ব্যাটেলিয়ন ট্যাকটিকাল গ্রুপ সীমান্ত এলাকাগুলোতে মোতায়েন করেছে। রোববার বেলারুশের সীমান্তরক্ষী দলের প্রধান সীমান্ত এলাকায় ইউক্রেনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ করেছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রাশিয়া বেলারুশকে ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে আসছে। বেলারুশের ঘাঁটি থেকে রাশিয়া সেনা এবং সাজ-সরঞ্জাম ইউক্রেইনের উত্তরে পাঠাচ্ছে।












