যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া একটি খসড়া পরিকল্পনা মেনে নিতে ওয়াশিংটন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। খবর বিডিনিউজের।
তাদের ওই প্রস্তাবে কিয়েভকে ভূখণ্ডের কিছু অংশ ছাড়তে এবং কিছু যুদ্ধাস্ত্র ত্যাগে রাজি হতে বলা হয়েছে, এ সম্বন্ধে অবগত দুই ব্যক্তি বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এসব বলেছেন। সংবেদনশীল বিষয় হওয়ায় নাম–পরিচয় প্রকাশে রাজি না হওয়া ওই সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন প্রস্তাবের মধ্যে আরও অনেক কিছুর পাশাপাশি ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর আকার ছোট করার কথাও আছে।
ওয়াশিংটন চাইছে কিয়েভ যেন পরিকল্পনার মূল মূল প্রস্তাবগুলো মেনে নেয়, ভাষ্য তাদের। পূর্বাঞ্চলের যেসব এলাকা এখন ইউক্রেনের দখলে নেই তা মস্কোকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে কিয়েভ ও ইউরোপে ভবিষ্যৎ যে কোনো রুশ আগ্রাসন মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রস্তাবগুলোতে, বুধবার বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে এক্সিওস।
তথাকথিত নতুন মার্কিন পরিকল্পনার বিষয়ে ইউরোপীয় এক কূটনীতিক বলেছেন, এগুলো কিয়েভকে আরও কোনঠাসা করতে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন চেষ্টা। ইউক্রেনের অবস্থান এবং ওয়াশিংটনের ইউরোপীয় মিত্রদের কথা বিবেচনায় না নিয়ে কোনো সমাধানই হতে পারে না, বলেছেন তিনি। আরেক ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেছেন, ইউক্রেনকে সামরিক বাহিনী ছোট করে ফেলার যে কথা বলা হচ্ছে, তাকে গুরুতর কোনো প্রস্তাব মনে হচ্ছে না, মনে হচ্ছে রাশিয়ার দাবি। এমন এক সময়ে এ পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে এল যখন পূর্ব ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে একের পর এক গ্রাম জেলেনস্কি বাহিনীর হাতছাড়া হচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে এখন বড় এক দুর্নীতি কেলেঙ্কারিও সামলাতে হচ্ছে, যার কারণে বুধবার দেশটির পার্লামেন্ট জ্বালানি ও বিচারমন্ত্রীকে বরখাস্তও করেছে। হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক্সে বলেছেন, সংঘাতে লিপ্ত দুই পক্ষের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ওয়াশিংটন যুদ্ধ বন্ধে সম্ভাব্য উপায়গুলোর একটি তালিকা তৈরি করছে। ইউক্রেনে যেটা হচ্ছে, তার মতো জটিল ও প্রাণঘাতী যুদ্ধে ইতি টানতে গুরুতর এবং বাস্তবসম্মত ধারণার ব্যাপক আদানপ্রদান জরুরি। আর স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে উভয় পক্ষকেই কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় ছাড় দিতেই হবে, বলেছেন তিনি।










