এ কথা অস্বীকার করার জো নেই যে, ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। এই ভাষাটির পারদর্শিতা পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার লড়াইয়ে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে কাজ করে। এই কারণে ইংরেজি শিখার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করতেই হবে। তবে তার অর্থ এই নয় যে, বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদের তাজা খুনে অর্জিত বাংলা ভাষার মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করতে হবে। অত্যন্ত দুঃখ এবং পরিতাপের সাথে বলতে হয়, আমাদের অনেকেই আজকাল বিয়ে-শাদীর আমন্ত্রণপত্রখানাও ইংরেজিতে লিখে নিজেদের অভিজাত প্রমাণ করার হীনমন্যতায় ভোগেন। বিভিন্ন দোকানের সাইনবোর্ডেও দেখা যায় ইংরেজির আধিক্য যা দেখে একজন ইংরেজও লজ্জায় মুখ টিপে হাসবে। যে ভাষাটির মর্যাদার জন্য সালাম, রফিক, বরকত, জব্বাররা তাঁদের বুকের তাজা রক্তে ঢাকার রাজপথ লালে লাল করে দিয়েছিল, সেই ভাষাটিকে আরো আধুনিক, সহজবোধ্য এবং যুগোপযোগী করার মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে মর্যাদার আসনে আসীন করার প্রয়াসে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দেশের ভাষাবিদ, জ্ঞানীগুণী বিদগ্ধমহলের এগিয়ে আসার প্রত্যাশায় এই ভাষার মাসে আমরা বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু মুজিবের মত বলতে চাই, আমি বাঙালি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলাদেশ আমার দেশ।
-শেখ মোজাফফর আহমদ, ফোর্রখ সেন্টার, নজু মিঞাহাট, চট্টগ্রাম।