পেকুয়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে উপজেলা ভূমি অফিসে ঢুকে ভারপ্রাপ্ত কানুনগোকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত আবুল হাসেম টুনু উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের ছোট ভাই। সে সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়া এলাকার মৃত নুরুল আলমের ছেলে।
এঘটনায় পেকুয়া ভূমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে আবুল হাসেম টুনু ছাড়াও হরিণাফাঁড়ি এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে ও ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে আবুল হাসেম টুনু তার সঙ্গী মামুনুর রশিদকে নিয়ে উপজেলা ভূমি অফিসের তৃতীয় তলার কানুনগোর রুমে যান। এসময় তারা কানুনগোকে অনৈতিকভাবে একটি নামজারি মামলা অনুমোদনের সুপারিশ করার জন্য চাপ দেয়। ওই নামজারি মামলা বিধিসম্মত না হওয়ায় তা নাকচ করে দেন কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে কানুনগোকে মারধর শুরু করে আবুল হাসেম ও মামুন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ভারপ্রাপ্ত কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এক ব্যক্তি একটি নামজারি খতিয়ানের আবেদন করেন। আবেদনে যে খতিয়ান থেকে আদেনকারী ভূমি দাবি করেছেন সেখানে তার দাতাপক্ষের নাম সঠিক নেই। তাই আবেদনটি নামঞ্জুর করার পক্ষে আমি মত দিই। এতে আবেদনকারীর পক্ষ হয়ে আবুল হাসেম টুনু নামের এক ব্যক্তি আমার কার্যালয়ে ঢুকে আমাকে মারধর করেন। থানায় অভিযোগ করায় বিভিন্ন মাধ্যমে এখন তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে।
এব্যাপারে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য বলেন, পেকুয়া ভূমি অফিসের ঘটনায় একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল হাসেম টুনু জানান, কানুনগো এক বছর ধরে আমার কাজটি করে দিচ্ছে না। উল্টো গত শনিবার নামজারির আবেদনটি খারিজ করে দেয়। তাই তাকে একটু বকাঝকা করেছি। মারধর করিনি।