রাঙামাটির লংগদুতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লংগদু উপজেলা পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার মাইনীমূখ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বেল্লাল হোসেন জানান, হাজাছড়া একজন কর্মী আমাকে জিজ্ঞেস করে- তাকে কেন কমিটিকে রাখা হয়নি? তখন আমি তাকে জানিয়েছিলাম উপজেলা চেয়ারম্যান আমাকে নিষেধ করে। এই কথাটি ওই কর্মী আবার চেয়ারম্যানকে জানায়। আজ (সোমবার) সকালে চেয়ারম্যান আমার কোনো কথা না শুনেই আমাকে হাত দিয়ে কিলঘুশি মারে, পরে তার পায়ের জুতা দিয়ে মারতে থাকে। পরে আশেপাশের লোকজন আমাকে রক্ষা করে। অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার বলেন, বেল্লাল আগে আমার গায়ে হাত তুলেছে, তাই আমিও তুলেছি। তিনি অভিযোগ তুলেন, ঘটনার সময় বেল্লাল তার ২ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার বেলা ১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে দলের নেতাকর্মীরা। উপজেলার আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় হতে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সুভাস চন্দ্র দাশ, সহসভাপতি আব্দুল আলী, সহসভাপতি হুসেন আলী, জেলা পরিষদের সদস্য আসমা আক্তারসহ উপজেলা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তরা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার কর্তৃক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বেল্লালের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। এই ঘটনায় লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। খবর নিয়ে জানতে পারি উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বেল্লাল হোসেনকে তুচ্ছ ঘটনায় মারধর করেছেন এবং তাকে জুতা দিয়ে পিটিয়েছেন। এর প্রতিবাদে দল থেকে একটা প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়েছে। আমরা ঘটনার বিচার দাবি করছি এবং অভিযুক্ত বারেক সরকারকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য জেলা সভাপতি দীপংকর তালুকদারকে জানিয়েছি।