আ.লীগের নির্বাচনী অফিস ও যুবলীগের মিছিলে হামলা

বিএনপি বলছে সাজানো ।। ৪টি ককটেল উদ্ধার

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২২ জানুয়ারি, ২০২১ at ৫:২৬ পূর্বাহ্ণ

চসিক নির্বাচনের ক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে নগরীতে বাড়ছে নির্বাচনের উত্তাপ। সেই উত্তাপে প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে সরকারি দলের নির্বাচনী কার্যালয়ে ও মিছিলে হামলার অভিযোগ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর নগরীর পাহাড়তলী কাজির দীঘিতে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীর অফিসে হামলায় তিনজন আহত হয়। এদিকে পাঁচলাইশ থানাধীন ষোলশহর ফরেস্ট গেইট এলাকায় যুবলীগের মিছিলে হামলায় ককটেল সদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণের অভিযোগ করেছে সরকারী দলের কর্মীরা। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, সবই সাজানো। পাহাড়তলীর ঘটনায় পুলিশ বলছে, ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে কথাকাটাকাটি। ষোলশহরের ঘটনায় পুলিশ বলছে, যুবলীগের মিছিলে হামলার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৪টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
পাহাড়তলী ১১নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী অধ্যাপক ইসমাইলের সমর্থক মো. শরীফ জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএনপি প্রার্থী শাহাদাতের একটি মিছিল থেকে লাঠি-সোটা দিয়ে হামলা করা হয়। ওইসময় আমাদের অফিসে তিনজন কর্মীকে আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় আমাদের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে আলামত সংগ্রহ করেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মো. আমির বলেন, ‘নির্বাচনী সংঘর্ষে গুরুতর আহত কেউ আসেনি। তবে ছোটখাট এসেছে কিনা জানি না। ছোটখাট কেউ আসলে রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি দেয়া হয় না।’
পাহাড়তলী থানার ওসি হাসান ইমাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘কাজিরদীঘির ঘটনাস্থলে কোন প্রার্থীর কোন মিছিল বা সমাবেশ ছিল না। তাদের নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। ঘটনাটি তেমন বড় নয়। তিনজন আহত হয়েছে শুনেছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসলে মামলা নেবো।’
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ষোলশহর ফরেস্ট গেইট এলাকায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে যুবলীগের প্রচারণার মিছিলে ককটেল হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৪টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া দৈনিক আজাদীকে বলেন, ফরেস্ট গেইট এলাকায় যুবলীগের মিছিলে ককটেল সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারটি ককটেল উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করলে কিংবা তদন্তে কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থীর মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব ইদ্রিস আলী বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা যাতে প্রচার প্রচারণা চালাতে না পারেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিনে যাতে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে না পারেন, সেই কলাকৌশলের অংশ হিসেবে সরকারি দলের লোকজন নিজেরা হামলার ঘটনা সাজিয়ে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। অথচ পুলিশের কারণে আমরা ঘরে পর্যন্ত থাকতে পারছি না। কারো অফিস ভাংচুর কিংবা হামলার ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়িত নয়।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধকারাগারে টেকনাফের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর
পরবর্তী নিবন্ধআইন পেশার মান সমুন্নত রাখতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে