দায়িত্ব নেয়ার সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন দুর্নীতির সাগরে নিমজ্জ্বিত ছিল বলে দাবি করেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। দুর্নীতির মধ্যে বিপ্লব উদ্যানে হাত দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিপ্লব উদ্যানের দোকান থেকে ১০/১২ কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। লোপাট কারা করেছে আপনারা সব জানেন। এখানে যে ব্যাপারটা নিয়ে আমি শংকিত, গত ১০ বছরে ঐ দোকানগুলো থেকে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা পাওয়ার কথা সিটি কর্পোরেশনের। অথচ বছরে এক লাখ টাকা পেয়েছে। কাজেই নিজের আখের গোছানের জন্য সিটি কর্পোরেশনকে দুর্নীতির সাগরে নিমজ্জিত করে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
তিনি গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নগর বিএনপির কার্যালয়ে নগর যুবদলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, আমি সাড়ে চারশ কোটি টাকার দেনা নিয়ে শুরু করেছি। আমি চাই সিটি কর্পোরেশন স্বাবলম্বী হোক। সিটি কর্পোরেশনকে এ ভরাডুবি থেকে তুলে আনতে পারব বলে বিশ্বাস করি। ধৈর্য্য ধরেন, আমাকে কাজ করার সুযোগ দিন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে একটি সুন্দর শহর, গ্রিন ও ক্লিন সিটি করা হবে। শহরের পরিচ্ছন্নকর্মীদের সহযোগিতা করলে এবং মনিটরিং করলে কাজের গতি অনেক বেড়ে যাবে। এসময় যুবদলকর্মীদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান।
মুস্তাকিম মাহমুদ ও মো. হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিয়াউল হক মিন্টু, মোহাম্মদ জসিম, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ ইদ্রিস, মোহাম্মদ সেলিম, মোহাম্মদ ইসমাইল হুসাইন লেদু, মো. সোহেল, মোহাম্মদ, মোহাম্মদ রিদওয়ানুল হক, জাকির হোসেন, মোহাম্মদ সাদ্দামুল হক, মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ দেলোয়ার, শফিউল বশর সাজু, ইয়াকুব খান, মো রায়হান, মো মিজান, মো. সাব্বির, রবিউল ও মোহাম্মদ ফারুক।
থানা ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় : গত মঙ্গলবার নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের মাঠে নগরের ১৫টি থানা ও ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় জনগণের জন্য কাজ করেছে। আর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলররা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দুর্নীতি করেছে। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডের দুর্নীতির প্রমাণ আমার কাছে আছে। অচিরেই আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বর্ষায় চট্টগ্রামের রাস্তাগুলো ভেঙে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তাই ওয়ার্ডের কোন কোন রাস্তা ও নালা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হবে আমাকে তালিকা করে দিবেন। তাছাড়া সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা মশার স্প্রে ও ময়লা আবর্জনা ঠিকমতো পরিষ্কার করছে কিনা দেখবেন, না করলে আমাকে জানাবেন।
কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাজী মো. সালাউদ্দিন, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মশিউল আলম স্বপন, মোশাররফ হোসেন ডিপটি, হানিফ সওদাগর, সরফরাজ কাদের চৌধুরী রাসেল, মোহাম্মদ আজম, মো. ইসমাইল বালি, বিএনপি নেতা শামসুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম আই চৌধুরী মামুন, জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, কাওসার হোসেন বাবু।