এই সংকটকালে উন্নয়ন প্রকল্প বাছাই এবং অনুমোদনে আরও সতর্ক হতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তবে তিনি বলেছেন, ‘আয়েশি’ কোনো প্রকল্প না নিতে নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে ক্ষুদ্র ও জনকল্যাণমুখী প্রকল্পে আপস না করার নির্দেশও দিয়েছেন সরকার প্রধান।
গতকাল একনেক সভার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশের কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় মোট ৩ হাজার ৯৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ের ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী (পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যদের প্রতি) বলেছেন, ‘প্রকল্প বাছাইয়ে আপনাদের আরও সাবধানী হতে হবে। প্রকল্প যাচাই-বাছাই অনুমোদন দুটোতেই।’ অপ্রয়োজনীয় অথবা আয়েশি এসব আইটেমের দিকে না যাওয়ার জন্য আমি পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যদের প্রতি আগেও বলেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজকে আরও ‘রিঅ্যাসার্ট’ (পুনর্ব্যক্ত) করেছেন, ‘আপনারা করছেন ভালো, আরও করেন, আরও গভীরে যান। তবে একটা শর্ত। ছোট ক্ষুদ্র গ্রামীণ ও কল্যাণমুখী ক্ষুদ্র প্রকল্পে এগুলোতে আমরা আপস করব না। এগুলোতে আমরা আগেও অগ্রাধিকার দিয়েছি, এখনও দেব’।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দুনিয়াব্যাপী টালমাটাল, আমরা টেকসই থাকতে চাই’।
অপচয় কমানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নিজেদের সম্পদ আরও বাড়ানোর চেষ্টায় থাকার পরামর্শও দিয়েছেন বলে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান। অফিসে বা বাসভবনে যেখানেই হোক, বিলাস দ্রব্য এড়িয়ে চলার কথাও সরকার প্রধান বলেছেন বলে জানান মান্নান।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কৃষির উপর বেশি জোর দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের স্বাবলম্বী হতে হবে। আমাদের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোনো কারণে যদি দুনিয়ার পতন হয়েই যায়, তাহলে আমরা যেন খেয়ে-পরে ঘরে বাঁচতে পারি। চাল, ডাল, সবজি, মাছ, মুরগি বা পোল্ট্রিসহ বড় শিল্পেও আমরা সহায়তা দিয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রী উৎপাদন বাড়াতে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী।