ব্যাটিংয়ের দুর্দশায় ম্যাচের পর ম্যাচ ধুঁকছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে ওয়ানডে ব্যাটিংয়ের দুরাবস্থায় ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পাওয়া এখন দুলছে শঙ্কার দোলাচলে। শুধু জাতীয় দলই নয়, আশেপাশে থাকা ব্যাটসম্যানদের বেশির ভাগই ছন্দে নেই। এই বাস্তবতা চিন্তায় ফেলেছে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে। দ্রুতই জাতীয় দলের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ আনতে চায় তারা। বেশ কিছু দিন ধরেই বাংলাদেশ দলের কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ নেই। সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আপাতত দেখভাল করছেন ব্যাটিং। সবশেষ সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে যাচ্ছেতাইভাবে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার তেতো স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। টানা ৪৫ ম্যাচে নেই ওপেনিংয়ে শতরানের জুটি। ওপেনারদের সেঞ্চুরি আসেনি গত ৩৭ ম্যাচেও। উদ্বোধনী জুটির ঘন ঘন পরিবর্তন এখন প্রায় নিয়মে পরিণত হয়েছে। জাতীয় দলের সবশেষ ব্যাটিং কোচ ছিলেন ডেভিড হেম্প। তবে তার কাজে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাকে আবার হাই পারফরম্যান্স দলে পাঠানো হয়েছে। সাবেক সহকারী কোচ নিক পোথাস কিছুদিন সামলেছেন ব্যাটিং। জাতীয় দলের সবশেষ ভালো ব্যাটিং কোচ ছিলেন বলা যায় নিল ম্যাকেঞ্জি। পরে ম্যাকেঞ্জির স্বদেশি অ্যাশওয়েল প্রিন্স কাজ করেছেন কিছুদিন। তাদের আগে দুই দফায় দীর্ঘদিন ব্যাটিং কোচ ছিলেন শ্রীলঙ্কার থিলান সামারারিরা। ব্যাটসম্যানদের সামপ্রতিক বিবর্ণ রূপ দেখে বিসিবি চাইছে একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ আনতে, যিনি ব্যাটারদের টেকনিক, মানসিকতা ও প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করবেন। বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগেই নতুন ব্যাটিং কোচ নিয়োগের চেষ্টা চলছে। বোর্ড সভাপতি দেশে ফিরবেন বুধবার। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। আলোচনায় রয়েছে কয়েকজন বিদেশি কোচ, তাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান কোচের নামই এগিয়ে আছে। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমূল আবেদীন ব্যাটিং কোচ নিয়ে এক দফা আলোচনা করেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর সঙ্গেও। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ জানান জাতীয় দলের জন্য একজন আলাদা ব্যাটিং কোচ নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন তারা। জাতীয় দলের এখন ব্যাটারদের সমস্যাটা বেশি হচ্ছে। কেউই রানে নেই। ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা আসছে না। দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দনি ব্যাটিংটা দেখছেন এখন। তবে সিনিয়র সহকারী হিসাবে তাকে কোচিংয়ের অন্য কাজেও যুক্ত থাকতে হয়।












