আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টেও পূর্ণ শক্তির দল

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ৩ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ

ক্রিকেটে কখনো কখনো পচা শামুকে পা কাটে। যেমনটি বাংলাদেশের কেটেছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের সিরিজে। তাইতো আয়ারল্যান্ডকে নিয়ে বেশ সতর্ক বাংলাদেশ। ওয়ানডে এবং টেস্ট সিরিজের মত একমাত্র টেস্টের সিরিজেও বেশ দাপটের সাথে খেলতে চায় স্বাগতিকরা। তাইতো আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির দল খেলানোর চিন্তা বাংলাদেশ দলের নির্বাচক আবদুর রাজ্জাকের। তিনি বলেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কেবল জয় নয়, বড় ব্যবধানের জয়ের লক্ষ্য তাদের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের জন্য গত শনিবার দল ঘোষণা করে বিসিবি। আইপিএলের অনাপত্তিপত্রকে ঘিরে অনেক জল্পনাকল্পনার পর সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসকে নিয়েই গড়া হয় ১৪ জনের স্কোয়াড। এই ম্যাচ দিয়ে আয়ারল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেটে ফিরছে প্রায় চার বছর পর। যেহেতু শক্তির বিচারে টেস্ট ক্রিকেটের দুর্বলতম দল বলা হচ্ছে আইরিশদের। তার উপর এই ম্যাচটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশও নয়। তারপরও টেস্ট ম্যাচ মানেই সর্বোচ্চ গুরুত্বের দাবি রাখে বলে মনে করছেন রাজ্জাক।

বিসিবির এই নির্বাচক বলেন টেস্ট ম্যাচ একটা ভিন্ন জিনিস। আমরা প্রথম দিকে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে টেস্ট খেলতে গেলে কিন্তু ওদের মূল দলটাই খেলত। ভারত কিন্তু টেস্ট খেলতে মূল দল নিয়েই আসে। তাই আমার সোজা হিসাব, খুব ভালোভাবে টেস্ট ম্যাচটা জিততে চাই। একটা সময় কিন্তু ছিল যখন আমরা খেলতাম তখন প্রতিপক্ষ দল গুলো বেশ দাপট দেখিয়েই জিতত। আমাদেরও কঠিন পরীক্ষা দিতে হতো। এখন আমরাও চাই সেভাবে করতে। যাতে করে বোঝানো যায় যে, আমাদেরও ওই উন্নতিটা হচ্ছে। নতুন যারা আসছে তাদের সঙ্গে আমাদেরও পার্থক্যটা এরকম। টেস্ট পরিবারের আরেক নবীন সদস্য আফগানিস্তানের কাছে ২০১৯ সালে দেশের মাঠেই টেস্ট হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। রাজ্জাক অবশ্য বলেন ওই টেস্টের পুনরাবৃত্তির শঙ্কা তাদের মধ্যে কাজ করেনি। এখানে প্রতিপক্ষের বিচারের চাইতে আমাদের সবচাইতে বেশি যে জিনিসটা দরকার তা হচ্ছে আমাদেরও তো জানা দরকার আছে আমরা টেস্টে কোন অবস্থায় আছি। তাদের সাথে আমাদের পার্থক্যটা কী। সাকিবলিটনদের আইপিএল খেলার অনাপত্তিপত্র দিয়ে কিংবা আরও দুএকজনকে বিশ্রাম দিয়ে টেস্ট খেলার মতো শক্তির গভীরতা এখনও বাংলাদেশের হয়নি বলে মনে করেন সাবেক এই স্পিনার। আমি চাই একদম সেরা দলটাই খেলুক। যেহেতু এটা একটা টেস্ট ম্যাচ। টেস্টে আসলে কোনো দলের বিপক্ষে কোনো সুযোগ নেওয়া উচিত নয়। কারণ টেস্ট ম্যাচ জিতে রাখাই ভালো। আর আমরা এখনও ওরকম পরিস্থিতিতে যাইনি যে, ৫ জন ক্রিকেটার না থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না। আমার মনে হয়, ওই পর্যায়ে যেতে আমাদের এখনও সময় লাগবে। শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল মঙ্গলবার শুরু হবে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের একমাত্র টেস্ট।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১ম বিভাগ ক্রিকেটে চসিক গ্রিনের জয়
পরবর্তী নিবন্ধসাকিবকে বিশ্রামে রেখে টেস্ট দলের অনুশীলন শুরু