শুরুতে আশা জাগিয়েছিল আইরিশরা। তবে শেষ পর্যন্ত আর পারেনি বালবির্নির দল। কিউইদের দেয়া ১৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫০ রানেই থেমে যায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। এতে থেমে গেছে তাদের এবারকার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যাত্রাও। অন্যদিকে ৩৫ রানের জয়ে সেমিফাইনালের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল কিউইরা।
অ্যাডিলেডে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রান তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দুই আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং ও অ্যান্ড্রু বালবির্নি। তবে হঠাৎ কিউই বোলারদের নিয়ন্ত্রণে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে আইরিশরা।
প্রতিপক্ষ শিবিরে প্রথম আঘাতটা হানেন মিচেল স্যান্টনার। তার সঙ্গে যোগ দেন সোদি। দুই স্পিনারের ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয়ে মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে তিন টপঅর্ডারকে হারায় আয়ারল্যান্ড। ২৫ বলে ৩ ছক্কায় ৩০ রান করা বালবির্নিকে বোল্ড করেন স্যান্টনার। তাতে ভাঙে ৬৮ রানের ওপেনিং জুটি।
এরপর স্টার্লিং ২৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ করে সোদির বলে বোল্ড হন। এরপর নিজেদের পেস আক্রমণ নিয়ে হাজির হন লকি ফার্গুসন ও টিম সাউদি। এই চার বোলারের দাপটে জর্জ ডকরেল, লরকান টাকা ও গ্যারেথ ডেলানি ছাড়া আর কোনো আইরিশ ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। টাকা ১৩, ডেলানি ১০ ও ডকরেল ২৩ রান করে আউট হন।
কিউইদের পক্ষে ২২ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নেন ফার্গুসন। দুটি করে উইকেট নেন সাউদি, স্যান্টনার ও সোদি।
অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে কিউই ব্যাটসম্যানদের ওপর কখনোই চড়াও হতে পারেননি আয়ারল্যান্ডের বোলাররা। শুরু থেকেই আইরিশ বোলারদের পেটাতে থাকেন অ্যালেন, উইলিয়ামসনরা। যদিও এদিন কনওয়ে একটু ধীরগতির ইনিংস খেলেছেন। তবে রানের চাকা ঘুরিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। তার অসাধারণ ফিফটিতে নিউজিল্যান্ড বড় সংগ্রহ পায়।
যদিও ম্যাচের ১৯তম ওভারে জোশ লিটল হ্যাটট্রিক করে কিউইদের রানে কিছুটা ভাটা ফেলেছেন। তবুও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮৬ রানের লক্ষ্য অনেক কঠিন। ৩৫ বলে ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। এছাড়াও ফিন অ্যালেন ১৮ বলে ৩২, কনওয়ে ৩৩ বলে ২৮ এবং মিচেল অপরাজিত ছিলেন ৩১ রানে।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে ২২ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন হ্যাটট্রিকবয় জোশ লিটল। এছাড়াও দুই উইকেট পেয়েছেন গ্যারেথ ডেলানি।