২০২০-২০২১ করবর্ষে অনেক ব্যক্তি ও কোম্পানি করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেননি। তাই আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির নেতারা। একই সাথে তারা আপিল, ট্রাইব্যুনাল, হাইকোর্ট রেফারেন্স এবং আয়কর মামলার কার্যক্রমের সময়সীমা বাড়ানোরও দাবি জানান। গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে আমরা গত করবর্ষের মতো এই করবর্ষেরও আয়কর রিটার্ন, আপিল, ট্রাইব্যুনাল, হাইকোর্ট রেফারেন্স, বিভিন্ন আয়কর মামলার কার্যক্রমের সময়সীমা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন জানাচ্ছি। কর অঙ্গনের অস্থিরতা ও সম্মানিত করদাতাদের উৎকন্ঠা দূর করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। লকডাউনে দীর্ঘদিন সরকারি এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকায় এবং মানুষের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ থাকায় আইনগত নির্ধারিত সর্বশেষ সময়ে অনেক সম্মানিত করদাতা আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারেননি। তিনি আরো বলেন, বিপুল সংখ্যক আয়কর মামলা নিষ্পত্তির সময়ও তামাদি হয়ে যায়। এই কারণে করদাতাদের মধ্যে উৎকন্ঠা এবং কর অঙ্গনে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। সরকারও কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আয়কর রিটার্ন দাখিল, আপিল, ট্রাইব্যুনাল, হাইকোর্ট রেফারেন্স ও অন্যান্য মামলার কার্যক্রমের সময়সীমা বাড়াতে আয়কর অধ্যাদেশের ১৮৪-জি ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা ব্যবহার করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন আয়কর আইনজীবী সমিতি এবং ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে আবেদন করা হয়। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এসব আবেদন আমলে না নিয়ে উদাসীনতা এবং অবহেলা দেখাচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশে লকডাউন চলছে। এই কারণে অনেক ব্যক্তি ও কোম্পানি করদাতা ২০২০-২০২১ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেননি। কারণ ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে আইনগত নির্ধারিত সর্বশেষ সময় ছিল ৩০ এপ্রিল এবং কোম্পানি করদাতাদের ক্ষেত্রে ১৫ মে। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সমিতির সভাপতি মো. এনায়েত উল্লাহ, সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান, মো. মাহফুজুল হক, মোস্তফা কামাল মনসুর, মো. ওমর ফারুক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দীন চৌধুরী এবং মো. আনিসুর রহমান।