চট্টগ্রামে কর অঞ্চল অফিসগুলোতে শেষ মুহূর্তে করদাতাদের ভিড় বেড়েছে। আজ আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন। প্রতিবছর কর বিভাগ সপ্তাহব্যাপী মেলার আয়োজন করলেও এ বছর তার ব্যতিক্রম ছিল। করোনা মহামারীর কারণে চট্টগ্রামের চারটি কর অঞ্চল আলাদা আলাদা বুথ বসিয়ে আয়কর রিটার্ন গ্রহণ করছে। কর কর্মকর্তারা জানান, আজ রিটার্ন গ্রহণের শেষ দিন। তবে নির্ধারিত সময়ের পরেও রিটার্ন নেয়া হবে কিনা সেই ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্যদিকে কর অঞ্চলগুলোর পক্ষ থেকে করদাতাদের বারবার স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য তাগাদা দেয়া হলেও অনেকে তা মানছেন না। কারো মাস্ক থুতুনিতে, আবার কারো কানের একপাশে ঝুলানো, কাউকে পকেটে মাস্ক নিয়েও দিব্যি ঘুরতে দেখা যায়।
গতকাল চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১, ২ এবং ৩ এর বুথ ঘুরে দেখা গেছে, করদাতারা ফরম পূরণ থেকে শুরু করে আনুষাঙ্গিক কাজে ব্যস্ত সময় কাটান। বুথের কর কর্মকর্তারা রিটার্ন দাখিলে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। কেউ কর সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন করলে বুথে দায়িত্বরতরা হাসিমুখে সেইসব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। রিটার্ন দিতে আসা চাকরিজীবী ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমি গত ৫ বছর ধরে আয়কর রিটার্ন দিচ্ছি। এবার মেলা না হওয়ায় কিছুটা ভোগান্তি পোহাতেও হচ্ছে। মেলায় যেভাবে সহায়তা পেতাম, এখানে তার কিছুটা ঘাটতি লক্ষ্য করছি। তারপরেও ভালোয় ভালেয় রিটার্ন দাখিল করতে পেরেছি।
কর অঞ্চল-১ এর অতিরিক্ত কমিশনার সামিনা ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, গত ১ নভেম্বর থেকে আয়কর রিটার্ন দাখিল কার্যক্রম শুরু হয়। এবার মেলা না হওয়ায় আমরা বুথ বসিয়ে রিটার্ন নিচ্ছি। প্রথমদিকে করদাতার উপস্থিতি কম হলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে তা বাড়তে থাকে। আজ (গতকাল) করদাতাদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। তবে আমাদের কর্মকর্তারা তা ভালোভাবেই হ্যান্ডেল করেন। করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে আমরা করদাতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য বারবার তাগাদা দিয়েছি। আমরা তো আর কাউকে ফোর্স করতে পারি না। তবে শুরু থেকেই সবাইকে সচেতন করেছি।
আজ (সোমবার) রিটার্ন দাখিলের শেষদিন। নির্ধারিত সময়ের পরে রিটার্ন গ্রহণ করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো ধরণের নির্দেশনা পাইনি। তবে আগামীকাল (আজ) পেতে পারি। নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।
এদিকে আজ আয়কর দিবস উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৪। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার র্যালি অনুষ্ঠিত হবে না বলে জানান কর অঞ্চল-৪ এর কমিশনার ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী।