জীবনের স্বাভাবিক গতিতে চলার পথে হঠাৎ করেই কিছু কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের সকলকেই। অত্যন্ত সতর্কতার সাথে অথবা খুব কষ্ট করে পার করতে হয় সে সব মুহূর্তগুলো। কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্য্য রাখা অনেক অনেক কঠিন। খুব কাছের মানুষ কিংবা আপনজনেরা যদি এইসব কঠিন মুহূর্তে সহযোগিতা না করে বরং বিপদগ্রস্ত মানুষগুলোর উপর অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে ধীরে ধীরে বিষ প্রয়োগ করতে থাকে, তখন লাইফ লিড করাটা এতোটাই কঠিন হয়ে পড়ে যে, কোন রকমের ধৈর্য্য তো আর তখন থাকেই না, বরং সবকিছুই তখন ভারি মনে হয়। জীবনের অসহনীয় সময়ে; আনন্দ, সুখ যখন থাকে না, কষ্টের সময়গুলো যখন পরিবারের সঙ্গী হয়, তখন কানে বিষ প্রয়োগ করা বয়োজ্যেষ্ঠ বুদ্ধিমান, কিংবা অসহযোগিতা কারী কাছের মানুষগুলোর প্রতি কোনোভাবেই শ্রদ্ধাবোধ কিংবা ভালোবাসা তো আর আসেই না, বরং জীবনটাকে দুর্বিষহ মনে হয়। শত ঝড়-ঝঞ্ঝার পর আবার একটা সময় সবকিছু স্বাভাবিক হয়। জীবন যাপন স্বাভাবিক হলেও মন থেকে সে সব হীনমন্যতায় ভোগা, সংকীর্ণ মানসিকতার, নির্মম, নিষ্ঠুর, নির্দয় মানুষগুলোকে ক্ষমা করা যায় না। এটা ঠিক যে, একে অন্যের কাঁধে দায় কিংবা দায়িত্ব কৌশলে চাপিয়ে না দিয়ে, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে বিপদকালীন সময়গুলো কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতা করাই হলো মনুষ্যত্বের লক্ষণ। তাই আসুন বিপদকালীন সময়গুলোতে আপনজনদেরকে যতটুকু সম্ভব যে যেভাবে পারি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই। কেউ কথা দিয়ে, কেউ কাজ দিয়ে অথবা কেউ ভালোবাসা দিয়ে। তা আমাদের সকলের জন্যেই মঙ্গলজনক। এতে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়, মজবুত হয় ভালোবাসার ভিত্তি।