আসুন সবাই ধূমপানকে না বলি

| রবিবার , ২৯ মে, ২০২২ at ৮:০৯ পূর্বাহ্ণ

অনেকের মধ্যেই একটি ভ্রান্ত ধারণা হচ্ছে, ধূমপান করলে টেনশন কমে যায়, যার কারণে বর্তমান সময়ের যুবসমাজকে পারিবারিক বা সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটলেই দেখা যায় ধূমপান করতে। অনেকেই আবার মনে করেন ধূমপান করা একধরনের ফ্যাশন বা স্মার্টনেস, আভিজাত্যের প্রতীক। আসুন সবাই ধূমপানকে না বলি। আজ এখন থেকেই ধূমপান ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করি। টেবিল কিংবা পকেটে রাখা সিগারেটের প্যাকেট ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলুন। একদিন ধূমপান না করে দেখুন। তাহলে অভ্যাস গড়ে উঠবে। জীবনের, সমাজের, পরিবেশের জন্য সর্বোপরি এ পৃথিবীর সমস্ত জীবজগতের জন্য ধূমপান ছেড়ে অধূমপায়ী বনে যাওয়া সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ধূমপান তথা তামাক সেবনের মাধ্যমে ক্যান্সারে ভোগে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা সবচেয়ে সহজ ও দুর্ভাগ্যজনক। অন্যদিকে, ধূমপান ছেড়ে বাড়তি আয়ু পাওয়া পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমাদের দেশে প্রতি বছর যত লোকের ক্যান্সারে মৃত্যু হয়, তার এক-তৃতীয়াংশের মৃত্যুর কারণ এ ধূমপান। অনেকটা বিগবাজারের সেই অফারের মতো একটা কিনলে আরেকটি ফ্রি। ধূমপানের জোরে যারা ক্যান্সারে মারা যান তারা বেশিরভাগ ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যান। তামাক শুধু এক ধরনের ক্যান্সার উপহার দেয় না, বহু ধরনের ক্যান্সারের কারক। তামাক সেবনের জোরে খাদ্যনালী, স্বরনালী, কিডনি, অগ্ন্যাশয়, জরায়ুমুখের ক্যান্সার হয়। মনে রাখবেন, আপনি যদি ধূমপান ছাড়তে না পারেন, তাহলে আপনার সন্তান বা পরিবারের ছোট সদস্য নতুন করে ধূমপান শুরু করতে পারে। আপনি কি তা চান? দেশে কোনো আবাদি জমি যাতে তামাক চাষের আওতায় আনা না হয়, এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। আসুন সবাই ধূমপানকে না বলি।
ইমরান হোসাইন
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ,
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় : শিক্ষাবিদ ও ভাষাতাত্ত্বিক
পরবর্তী নিবন্ধনারীরাই সমাজ পরিবর্তন করতে পারে