মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। প্রতিটি মানুষ তাই সমাজবদ্ধ থাকে, একে অন্যের বিপদে ছুটে চলে আসে। মানুষই তো মানুষের সেবা করবে, মানুষের অবস্থানটা সৃষ্টিকর্তা সেভাবেই ঠিক করে দিয়েছেন। মানবিক হওয়াটা মানুষের একটি আদর্শ গুণ। একজন মানবিক মানুষ সবসময়ই মনুষ্যত্বের ধর্মে বিশ্বাসী। সে কখনোই কোনো মানুষকে তার ধর্ম, বর্ণ, জাত-পাত, প্রতিপত্তি, সামাজিক অবস্থান, মর্যাদা এসব নিয়ে বিচার করে না। সে শুধু খুঁজে বেড়ায়, একজন প্রকৃত মানুষকে। কিন্তু, আমাদের সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা অমানবিক। তারা মানুষকে পার্থক্য খুঁজে খুঁজে তারপর মূল্যায়ন করে। আমাদের উচিত, মনুষ্যত্ব অর্জন করে নিজেকে মানবিক করে গড়ে তোলা। যেমন ধরেন- রাস্তাঘাটে কত শিশু-বৃদ্ধ তো অনাহারে দিন কাটাচ্ছে তাদের নিজ সাধ্য মতো কিছু খেতে দেওয়া। আপনার একটু সাহায্যে সেই অনাহারে থাকা মানুষটার মুখে হাসি ফুটবে। হাসপাতালগুলোতে কত মানুষ টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তাদের আর্থিক সাহায্য করা। অনেক হাসপাতালগুলোতে টাকা দিতে না পারার জন্য চিকিৎসাই দেওয়া হয় না, অথচ রোগীর অবস্থা সংকটপূর্ণ! মানবিক হয়ে একজন রোগীর জীবন বাঁচানো ডাক্তারের প্রধান কর্তব্য। তবে সে ডাক্তার যদি অবহেলা করে কিংবা তার ভুলে কারো জীবন বিপদে পড়লে সেটাতো অমানবিকতাকেই ফুটিয়ে তুলে। কোনো মানুষকেই ছোট করে দেখা উচিত নয়। আমরা মানুষরাই একে অন্যের বিপদে আসি। শত্রুতা, অহংকার, হিংসা, স্বার্থপরতা ত্যাগ করে মানবিক হওয়াটা অনেক জরুরি। মানবিক হলে, মানুষে মানুষে সমপ্রীতির বন্ধন সৃষ্টি হবে। আসুন একটু মানবিক হয়, বদলে যাবে সমাজ, বদলে দিবে অমানবিকতার কালো হাত।