ভারতের আসাম রাজ্যের প্রধান নদীগুলোতে পানি বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির হয়েছে, এতে বন্যাকবলিত ২৫ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা অন্তত ১১ লাখে দাঁড়িয়েছে। অবিরাম বৃষ্টিপাতের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, মৃত্যু হয়েছে অন্তত চার জনের, জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। খবর বিডিনিউজের।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বহু এলাকায় ব্রহ্মপুত্র ও গৌরঙ্গ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নবগঠিত বাজালি জেলা। আসাম রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাকবলিত জেলাগুলোর ১৯ হাজার ৭৮৩ হেক্টর ফসলি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ জেলাগুলোর ১৫১০টি গ্রাম ডুবে গেছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, টানা তিন দিন ধরে চলা অবিরাম বৃষ্টিতে আসামের রাজধানী গোয়াহাটিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, এতে পুরো শহরের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। নগরীটিতে বেশ কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত তিন জন আহত হয়েছে। বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে সতর্কতা জারি করে প্রশাসন অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজনকে বাড়ি থেকে বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতে ডিহিং নদীর পানির উচ্চতা বাড়ার পর বুধবার বাকসা জেলার সুবনখাতা এলাকার একটি সেতু আংশিক ধসে পড়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিম্ন আসামের রানগিয়া বিভাগের নালবাড়ি ও ঘোগরাপারের মধ্যবর্তী লাইন ডুবে যাওয়ায় অন্তত ছয়টি ট্রেন যাত্রা বাতিল ও চারটির আংশিক বাতিল করতে হয়েছে। আসামের পাশাপাশি অতি ভারি বৃষ্টিতে প্রতিবেশী মেঘালয় ও অরুণাচলের জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মেঘালয়ে হড়কা বান, বজ্রপাত ও ভূমিধসে অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় ভারতের ৬নং জাতীয় মহাসড়কের কিছু অংশ ধসে পড়েছে ও বন্যায় তলিয়ে গেছে। এ কারণে মহাসড়কটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এই মহাসড়কটি ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম, মিজোরাম ও মেঘালয়ের কিছু অংশের যোগাযোগের একমাত্র উপায়।