আসামি শ্যালককে পুলিশে দিলেন ভগ্নিপতি

ঢাকায় খুন করে চট্টগ্রামে বোনের বাসায়

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

ঢাকায় বাড়িওয়ালার ছেলেকে খুন করে পালিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে বোনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিল মো. আলমগীর হোসেন। ভগ্নিপতি খুনের বিষয় জানতে পেরে শ্যালককে বেড়ানোর কথা বলে কৌশলে তাকে খুলশী থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন। গতকাল বুধবার সকালে খুলশী থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে ওসি সন্তোষ চাকমা আজাদীকে জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত আলমগীর হোসেনের (৩৩) বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। ওসি সন্তোষ চাকমা জানান, আলমগীর ঢাকার সবুজবাগ থানার কদমতলা হক সোসাইটি আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত। একই এলাকায় জনৈক মোকলেছ মুন্সীর ভাড়া বাসায় সাবলেট থাকতো আলমগীরের শ্যালক নাজমুল হোসেন (২৮)। মোকলেছের কাছ থেকে নাজমুল সাত হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা পরিশোধ না করে সম্প্রতি নাজমুল বাসা ছেড়ে চলে যায় এবং ভগ্নিপতি আলমগীরের বাসায় গিয়ে ওঠে। মোকলেছ মুন্সীর ছেলে জহির মুন্সী বিভিন্ন সময় তার কাছে গিয়ে পাওনা টাকা ফেরত চান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নাজমুল ও আলমগীর মিলে জহিরকে খুনের পরিকল্পনা করে। গত ৩ ডিসেম্বর রাতে জহিরকে পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে নাজমুল ও আলমগীর মান্ডা খালের পাড়ে ডেকে নিয়ে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে খুন করে। এসময় স্থানীয় লোকজন নাজমুলকে ধরে ফেলেন। তবে আলমগীর পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। মোকলেছ সবুজবাগ থানায় নাজমুল ও আলমগীরকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এদিকে সেই আলমগীরকে নিয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খুলশী থানায় আসেন তার ভগ্নিপতি আশরাফুল ইসলাম বাবু। পুলিশ জানায়, আশরাফুলের বাসা নগরীর টাইগারপাস এলাকায়। আলমগীর পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে চট্টগ্রামে তার বোন জান্নাত আরার বাসা টাইগারপাসে চলে আসে। কথা প্রসঙ্গে খুনের বিষয়টি জানতে পেরে আশরাফুল তার শ্যালক আলমগীরকে পুলিশের কাছে সোপর্দের পরিকল্পনা করেন। আলমগীরকে বেড়াতে নেয়ার কথা বলে সিএনজি টেঙিতে তুলে নিয়ে যান থানায়।
ওসি সন্তোষ চাকমা বলেন, আশরাফুল তার শ্যালক আলমগীরকে অনেকটা একাকী ধরে-বেঁধে থানায় নিয়ে আসেন। থানায় ঢুকে চিৎকার করে বলতে থাকেন- ও একটা খুনি, ওকে গ্রেপ্তার করুন। আলমগীরকে আটক করা হয়। আলমগীরকে সবুজবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকটি রায় চোখের কোণে জল
পরবর্তী নিবন্ধ৮৯ শতাংশ রোগীরই ছিল পুরনো জটিলতা